চাঁদপুর প্রতিনিধি
মন্ত্রীদের তৎপরতা
প্রবীণদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার হবে
- দীপু মনি
প্রবীণদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার করা হবে। যেখানে থাকছে বিনোদন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা- এমনটাই জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল শুক্রবার সকালে চাঁদপুর আল আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এরই মধ্যে প্রবীণদের জন্য ১৩টি শান্তিনিবাস তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবীণদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার হবে। এটি পাইলট বেসিসে প্রথমে একটি শুরু হবে। সেটির সাফল্য দেখে তারপর আমরা আরো প্রয়োজন হলে করব। কারণ আমাদের সমাজের প্রত্যেক বাড়িতেই একজন না একজন বয়স্ক মানুষ থাকেন। সেই মানুষটিকে যথাযথভাবে যত্ন নেওয়ার সুযোগ হয় না। দিনের অধিকাংশ সময় তিনি একাই বাড়িতে কাটান। অনেক সময় পড়ে যান, ব্যথা পান এবং নানারকম দুর্ঘটনা ঘটে। তার ছেলেমেয়েরা কিন্তু তাদের সংসার এবং জীবিকার প্রয়োজনে কাজে বাইরে চলে যান। ছোট বাচ্চারা স্কুল-কলেজে চলে যায়। প্রবীণ মানুষটিকে দেখারমতো মানুষ অনেক সময়ই থাকেন না। এটি নিয়ে পরিবারের সবারই একটা উৎকণ্ঠা থাকে। এসব কারণে সেই বয়স্ক মানুষটির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একটা বিরাট প্রভাব থাকে।’
দীপু মনি বলেন, ‘প্রবীণদের বিষয় নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছিলাম। এখন আমি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পেয়ে সুযোগটা পেয়েছি। সেজন্য এটিকে আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরু করার কথা বলেছি। যাদের বৃদ্ধ মা-বাবা বাড়িতে থাকেন, তাদের দিনের বেলায় একা থাকার বদলে তার সমবয়সীদের সঙ্গে এক জায়গায় থাকবেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। সমবয়সিদের সঙ্গে সুন্দর একটি সময় কাটানোর পর সন্ধ্যাবেলা তাকে আবার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। কাজেই আমাদের মা-বাবাদের আর বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসতে হবে না। তারা বাড়িতে বাড়ির পরিবেশে থেকে একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবেন। নিজেরা সুস্থ থাকবেন এবং তাদের সন্তানরাও উৎকণ্ঠার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। সেজন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সামাজিক নেতা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
"