কার্যক্ষমতা বাড়াতে পোস্তগোলা সেতু সংস্কার করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ফলে এ সেতু দিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ১৭ দিনের মধ্যে ৪ দিন যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে।

প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু-১ (পোস্তাগোলা সেতু)-এর দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিং কাজ চলবে। সেজন্য ভারী যানবাহন (ট্রাক-পিকআপভ্যান, কাভার্ডভ্যান) ও হালকা যানবাহনের (বাস-মাইক্রোবাস-অটোরিকশা-কনটেইনারবাহী লরি) ২২, ২৩ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৬ মার্চ- এ চার দিন বিকল্প সড়ক ব্যবহার করবে। অর্থাৎ গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কগামী যানবাহন বেড়িবাঁধ রোড দিয়ে বাবুবাজার সেতু হয়ে তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন হয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করবে।

যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কগামী যানবাহন ধোলাইরপাড় বাসস্ট্যান্ড ও বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন হয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করবে। রুটগুলোয় দ্বিমুখী যান চলাচল থাকবে। এছাড়া হালকা যানবাহন সওজ ও এলজিইডির বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে পারেব। যেমন পদ্মা সেতু থেকে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামমুখী যানবাহন শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ-মুক্তারপুর সেতু-তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে। সিলেট, চট্টগ্রাম থেকে পদ্মা সেতুমুখী যানবাহন মদনপুর থেকে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মুক্তারপুর সেতু-শ্রীনগর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

পদ্মা সেতু থেকে ঢাকাগামী যানবাহন শ্রীনগর দোহার-নবাবগঞ্জ-কেরানীগঞ্জ, তুরাগ-রোহিতপুর, আবদুল্লাহপুর-রাজাবাড়ী বাজার-কোনোখোলা মোড়-বছিলা সেতু-মোহাম্মদপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে। পচনশীলদ্রব্য বহনকারী যান ছাড়া অন্য পণ্যবাহী যানবাহনকে পদ্মা সেতুর বিকল্প হিসেবে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও বঙ্গবন্ধু সেতু ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে সওজ। ২০২০ সালে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারে যাওযার সময় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পোস্তগোলা সেতুতে আটকে যায়। জাহাজটির ধাক্কায় সেতুর নিচের পাটাতন ও বিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে কয়েক দফা সংস্কার করা হয়।

"