ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২০ জানুয়ারি, ২০২৪

সাত অধিনায়কের বার্তা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। দুপুরে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচে নবাগত দুর্দান্ত ঢাকা লড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্স মোকাবিলা করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। বল মাঠে গড়ানোর আগে টুর্নামেন্টে নিজেদের লক্ষ্য ও ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন সাত অধিনায়ক। একনজরে তা দেখে নেওয়া যাক-

মাশরাফি বিন মর্তুজা (সিলেট স্ট্রাইকার্স) : অনেক নেতিবাচকতার মধ্যেও অন্তত খেলাটা হচ্ছে। বিপিএল বন্ধ হয়ে গেলে লাভ নেই। এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। সেদিক থেকে এবারের বিপিএল খুব কার্যকর হতে পারে। তাই ভালো উইকেটে খেলা দরকার। গতবারের উইকেটও বেশ ভালো ছিল। আমার কাছে মনে হয়, দিন শেষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের খেলা। কাজেই ভালো উইকেটে রান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

তামিম ইকবাল (ফরচুন বরিশাল) : বিপিএল নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, সমালোচনা হয়। তবু আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারব না যে এটাই ঘরোয়া ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমাদের সেরা টুর্নামেন্ট। সমস্যা হচ্ছে, আমরা টুর্নামেন্টের ভালো দিকটাও ভুলে যাই। আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলতে পারছি। এটা বড় একটা ইতিবাচক দিক। এখন বিশ্বে সাত, আট, নয়টা টুর্নামেন্ট আছে। আমাদেরও অনেক উন্নতির জায়গা আছে, অন্য লিগেরও উন্নতির জায়গা আছে।

লিটন দাস (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স) : কুমিল্লা সবসময় চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলে। এত টাকা দিয়ে যখন একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল গঠন করে তখন অবশ্যই তাদের লক্ষ্য থাকে ট্রফি জয়। দিন শেষে সবাই ট্রফি নিয়ে চিন্তা করে। এ ধরনের টুর্নামেন্টে সব দলই ভালো। নির্দিষ্ট দিনে ব্যাটে-বলে যারা ভালো করবে তারাই জিতবে। আমি আমার দল নিয়ে আশাবাদী। আমাদের দলটা অনেক ভারসাম্যপূর্ণ। দলে যত ক্রিকেটার আছেন প্রত্যেকেই ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখেন।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (দুর্দান্ত ঢাকা) : আমরা জানি মিরপুরের উইকেট একটু কঠিন থাকে। গতবার অবশ্য উইকেট ভালো ছিল। সে রকম উইকেট থাকলে আশা করি পর্যাপ্ত চার-ছক্কা হবে। সব দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে চার-পাঁচজন নতুন ক্রিকেটার উঠে আসেন। আমাদের চাওয়াটাও একই। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আশা করছি কিছু ক্রিকেটার উঠে এসে যেন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। বিপিএলে ঢাকা দল থাকা মানেই রোমাঞ্চকর ব্যাপার। আশা করছি, দর্শকরা মাঠে এসে খেলা দেখবেন।

নুরুল হাসান সোহান (রংপুর রাইডার্স): রংপুর রাইডার্স সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গঠন করে। এবারও আমরা শিরোপা জয়ের জন্য মাঠে নামব। চেষ্টা করব যতটা সম্ভব অবদান রাখার। রংপুর সবসময় দল গঠনের সময় বন্ধন ও সম্পর্কটাকে গুরুত্ব দেয়। সাকিব ভাই (সাকিব আল হাসান) যে দলে থাকেন তারা এমনিতেই উজ্জীবিত থাকে।

শুভাগত হোম (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স): গত বছর মিরপুরের উইকেট খুব ভালো ছিল। আশা করছি এবারও ভালো থাকবে। সবমিলিয়ে স্পোর্টিং উইকেট আশা করছি। সবকিছু (বিশৃঙ্খলা) নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এটা ব্যবস্থাপনার অংশ। বিসিবি, কর্তৃপক্ষ, ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই হবে। আমরা শুধু আমাদের ভূমিকাটাই পালন করতে পারি। আমাদের প্রথম লক্ষ্য প্লে অফ। আশা করছি, আমরা প্লে অফ খেলতে পারব।

এনামুল হক বিজয় (খুলনা টাইগার্স): সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আমাদের জন্য এবারের বিপিএল খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই হবে। শিরোপার দাবিদার কয়েকটি দলই। নির্দিষ্ট করে কারোর নাম বলা কঠিন। কারণ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নির্দিষ্ট দিনে সব দলই সেরা। আমাদের দলে ভারসাম্য আছে। আমরা চেষ্টা করব ভালো কিছু করার। আশা করছি গতবারের মতো এবারও ভালো উইকেটে টুর্নামেন্ট হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close