নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

হলফনামা বিশ্লেষণ

নিজের তিনটি ও স্ত্রীর একটি গাড়ি

গাজীপুর-২ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানের (রাসেল) গত ১৫ বছরের বেশি সময়ে নগদ অর্থ ও সম্পদ বেড়ে গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তার দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে। নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাহিদ আহসানের দাখিল করা হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। জাহিদ আহসান ২০০৪ সালে উপনির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন। সেই হিসাবে তিনি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ওই আসনের সদস্য। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দাখিল করা হলফনামায় ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখান ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি ছিল নগদ ১৫ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা দেখিয়েছিলেন ৭০ হাজার ৭৯৫ টাকা। পৈতৃক সূত্রে ২ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৪৯০ টাকা মূল্যের গাড়ি দেখিয়েছিলেন। দায় হিসেবে সুদহীন ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ছিল।

সর্বশেষ হলফনামা অনুযায়ী, জাহিদ আহসানের করমুক্ত একটি এসইউভিসহ নিজ নামে তিনটি এবং তার স্ত্রীর নামে একটি গাড়ি আছে। তার তিনটি গাড়ির দাম ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪ টাকা। স্ত্রীর নামে থাকা গাড়ির দাম ১৩ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমা অর্থের পরিমাণ ১৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ টাকা, স্ত্রীর নামে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩৪৫ টাকা। তার স্থাবর সম্পত্তি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া টঙ্গীতে ১ দশমিক ৬৫০ শতাংশ জমি, উত্তরায় তৃতীয় প্রকল্পে ৫ কাঠা জমি। তার স্ত্রীর নামে রাজধানীর বনানীতে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ব্যবসায় রাসেলের বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ৯৮ হাজার ৩৯০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৮১০ টাকা এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের শেয়ার আছে ৫ লাখ টাকা। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বার্ষিক সম্মানী ভাতা পান ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪২০ টাকা এবং বিশেষ সুবিধা পান ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৮ টাকা। নিজ নামে তার নগদ টাকা আছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close