নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

মনোনয়ন বৈধ ১৯৮৫ প্রার্থীর বাতিল ৭৩১ জনের

* আপিল শুরু আজ, চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত * আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি ১০-১৫ ডিসেম্বর * ঢাকার ২০ আসনে বৈধ প্রার্থী ১৫৬ জন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার। এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ২ হাজার ৭১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়ন টিকেছে ১ হাজার ৯৮৫ প্রার্থীর। এ ছাড়া বাতিল হয়েছে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ শুরু হবে আজ মঙ্গলবার।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম গতকাল সোমবার বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া কোনো প্রার্থী আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে) নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করতে পারবেন।

তিনি জানান, আপিল গ্রহণে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে নির্বাচন ভবনে। ১০ কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০ করে আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি হবে ক্রমানুসারে। আপিলে কেউ টিকলে প্রার্থিতা ফিরে পাবেন। তিনি জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চলবে। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

ঢাকার ২০ আসনে এক-তৃতীয়াংশ মনোনয়ন বাতিল : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকার ২০টি আসনে জমা পড়া ২৩৪টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ১৫৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকায় গড়মিল, প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে ৭৮ মনোনয়নপত্র। অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ মনোনয়নপত্রই বাতিল হয়ে গেছে।

ঢাকা মহানগরীর ৪ থেকে ১৮ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম জানান, মহানগরের ১৫টি আসনে মোট ১৮৮টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১২৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে, বাতিল হয়েছে ৬৪টি।

এর মধ্যে ১৫টি মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপির কারণে, ২৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারদের সমর্থনের নথিতে গড়মিলের কারণে এবং ২০টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আনুষঙ্গিক কাগজপত্র না দেওয়ায়।

ঢাকা ১, ২, ৩ এবং ১৯ ও ২০ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান জানান, এই পাঁচ আসনে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১৪টি মনোনয়নপত্র।

চাঁদপুরের ৫ আসনে ৩২ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ১১ : চাঁদপুরে পাঁচটি আসনে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। চাঁদপুর-১ আসনে পাঁচজন, চাঁদপুর-২ আসনে একজন, চাঁদপুর-৪ আসনে দুজন ও চাঁদপুর-৫ আসনে তিনজনসহ মোট ১১ জনের ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত গরমিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এখানে আওয়ামী লীগের পাঁচটি আসনের প্রার্থীসহ ৩২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা হলেন- চাঁদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম হোসেন, রাহাত চৌধুরী, শওকত হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের জামাল হোসাইন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মো. সেলিম প্রধান। চাঁদপুর-২ মো. শাহআলম সরকার। চাঁদপুর-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপির মো. সেলিম, জাতীয় পার্টির সাজ্জাদ রশিদ।

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের বাংলাদেশ সংস্কৃতি মুক্তি জোটের আক্তার হোসেন তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাঙামাটি থানায় একটি মামলায় পরোয়ানা আছে। জাসদ প্রার্থী মো. মনির হোসেন মজুমদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জাকির হোসেন প্রধানিয়ার তথ্য গরমিল থাকায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

ওবিশাল-৪ আসনে নৌকার শাম্মীর মনোনয়নপত্র বাতিল, পংকজের বৈধ : বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় সংবিধানের ৬৬ নম্বর অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী, শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। পংকজ নাথ এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি।

নারায়ণগঞ্জে ৫ আসনে ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৭ : নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে ৩৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল সোমবার ৪৫ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০ প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আফাজ উদ্দিন মোল্লা জামানতের টাকা জমা না দেওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ কে এম শহীদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, হাবিবুর রহমান, জোবায়ের আলম, জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ছয়জনের মধ্যে সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জিকে মামুন দিদার ও ক্রেডিট কার্ডে ঋণখেলাপি হওয়ায় শরীফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে কমিশন। তারা দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির আলমগীর সিকদার লোটন, তৃণমূল বিএনপির আবু হানিফ হৃদয় ও জাকের পার্টির মো. শাহজাহানের মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ঋণখেলাপি হওয়ায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের সিরাজুল হক ও জাকের পার্টির জামিল মিজির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবদুল্লাহ আল কায়সার, জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, বিএনএমের এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, বিকল্প ধারার নারায়ণ দাস, মুক্তিজোটের মো. আরিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরফান হোসেন দীপ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফ ইসলাম ঝলক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সদস্য এ এইচ এম মাসুদ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী কায়সার হাসনাতের স্ত্রী রুবিয়া সুলতানা।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১ প্রার্থীর মধ্যে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম এবং ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল ও সঠিকভাবে ফরম পূরণ না করায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টির ছালাউদ্দিন খোকা মোল্লা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সৈয়দ হোসেন, তৃণমূল বিএনপির আলী হোসেন, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সেলিম আহমেদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হাবিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শহীদ উন নবী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের গোলাম মোর্শেদ রনির মনোনয়নপত্র।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পাঁচজন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির এ কে এম সেলিম ওসমান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ এম এম একরামুল হক, জাকের পার্টির মোর্শেদ হাসান, তৃণমূল বিএনপির আবদুল হামিদ ভাষানী ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ছামসুল ইসলাম। আসনটিতে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি।

বগুড়ায় ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন বগুড়ায় ১৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ নিয়ে দুুই দিনে বগুড়ার সংসদীয় ৭টি আসনে ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হলো। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৬০ জনের।

গতকাল সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট), বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া ৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) তিন আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। বগুড়া-৫ আসনে সমর্থকের স্বাক্ষর জালের অভিযোগে এনপিপি প্রার্থী আযষুর নুর ও ঋণখেলাপি হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী ওমর ফারুকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বগুড়া-৬ আসনে জাসদের প্রার্থী ইমদাদুল হক ইমদাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদের।

দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় বগুড়া-৭ আসেন জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী রাকিব হাসানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর আগে রবিবার আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

ফরিদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন বৈধ যাদের : ফরিদপুর-৪ আসনে ছয়জনের মনোনয়ন বৈধ এবং একজনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। মনোনয়ন বৈধ হয়েছে তরিকত ফেডারেশনের মাকসুদ আহমেদ গোলাম মাওলা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কাজী জাফরউল্ল্যাহ, জাকের পার্টির রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আলমগীর কবির, বাংলাদেশ কংগ্রেস নাজমুন নাহারের।

কান্নায় ভেঙে পড়লেন চৌকিদার এসকেন আলী : নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে জেনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌকিদার এসকেন আলী। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর চৌকিদার এসকেন আলী জেলা প্রশাসকের বারান্দায় নিজের কাছে থাকা কাগজপত্র ঘেঁটে তার ভুলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসকেন আলী তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ সমর্থিত ভোটারের নাম ও স্বাক্ষরের তালিকা দিতে পারেননি। এ কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

নাটোরের চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৪৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে ১২টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার এসকেন আলী একজন।

খুলনার ৬ আসনে ২৪ জনের মনোনয়ন বাতিল, বৈধ ২৮ : খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে ৫৩ জনের মধ্যে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাকি ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং একজনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে। খুলনা-১ আসনের তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাকের পার্টি মো. আজিজুর রহমান, সমর্থনকারীদের জাল সই ও নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাপত্রে সই না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় এবং নিজ আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের তালিকা পূর্ণাঙ্গ না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

খুলনা-২ আসনে ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী হিদায়েতুল্লাহের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমানের মনোনয়নপত্রটি স্থগিত রয়েছে।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-৩ আসনের দুজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সমর্থনকারীদের জাল সই থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান, রেজভী আলম, এইচ এম রওশন জামির ও মোত্তজা রশিদী দারা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এস জলিল ও জাপার শাহিদ আলমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

এ ছাড়া খুলনা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, জি এম মাহবুবুল আলম ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, ওয়াহিদুজ্জামান মোড়ল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close