নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

মনোনয়ন বাতিলের খাতায় আলোচিত অনেকেই

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিলের খাতায় চলে গেছেন আলোচিত বেশ কয়েকজন প্রার্থী। মনোনয়ন বাতিল হওয়াদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছেন নৌকাবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া কেউ কেউ। আবার অন্যান্য দলেরও অসংখ্য প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

মনোনয়ন বাতিলের তালিকায় রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম। বিএনপি নির্বাচন না করলেও কিশোরগঞ্জে দলটি থেকে নির্বাচিত তিনবারের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে মনোনয়ন বাতিল হয়ে নির্বাচনী দৌড় থেকেই ছিটকে পড়েছেন তিনি। আলোচিতদের মধ্যে বাতিলের তালিকায় আরো রয়েছেন ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরণ, কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী মাহি বি চৌধুরী, নোয়াখালী-৩ আসনে বিকল্পধারার মেজর (অব.) মান্নান, পাবনা-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী এবং বগুড়া-৪ আসনে বহুল আলোচিত-সমালোচিত হিরো আলম।

মেজর আখতারুজ্জামানের মনোনয়ন বাতিল : ঋণের তথ্য গোপন করায় কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সাবেক বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি আপিল করবেন।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে তিনজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমদ সাদী ও বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থীর মো. আবুল কাসেম। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে আখতারুজ্জামান ছাড়াও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী মো. আশরাফ আলী ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আহসানউল্লাহর। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার গোলাম কবির, শামীম আহমেদ ও মো. রুবেল মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জে মাহি বি চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী মাহি বি চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুজাফর রিপন জানান, ঋণ খেলাপের অভিযোগে মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিরণ ও বিকল্পধারার মান্নানের মনোনয়ন বাতিল : ঋণখেলাপির অভিযোগে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরণের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। এছাড়া নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ আসনে বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন গণতন্ত্রী পার্টির সারওয়ার ই দীন, জাসদের এস এম রহিম উল্যাহ ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জিহাদ চৌধুরী।

কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল : ঋণখেলাপি হওয়ায় কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এখানে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কক্সবাজার-১ আসনে আরো পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

সংগীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন বাতিল : ঋণ খেলাপির কারণে পাবনা-২ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ডলি সায়ন্তনীর ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত খেলাপি ঋণের কারণে তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বাকি দুজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায়। তারা হচ্ছেন পাবনা-২ এর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল আজিজ খাঁন ও পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো রবিউল করিম।

বগুড়া-৪ আসনে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল : হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করাসহ নানা ত্রুটির কারণে বগুড়া-৪ কাহালু-নন্দীপাড়া আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে হিরো আলমের। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হিরো আলম দলীয় প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও মনোনয়নপত্রে দলের নাম উল্লেখ করেননি। দলীয় মনোনয়নের মূলকপি জমা না দিয়ে ফটোকপি জমা দিয়েছেন। আবার স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে হলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়, সেটাও ছিল না। এ ছাড়া হলফনামায় হিরো আলম স্বাক্ষরই দেননি।

চাপাইনবাবগঞ্জে ডিআইজি সৈয়দ নুরুলের ভাইয়ের মনোনয়ন বাতিল : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকায় এটি বাদ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এ কে এম গালিভ খাঁন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলামের ভাই। সংসদ নির্বাচনে লড়ার জন্য তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

নেত্রকোনায় অধ্যাপক আনোয়ারসহ ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল : স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, নব্বইয়ের গণআন্দোলনের নেতা শফী আহমেদসহ ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ত্রুটিপূর্ণ, খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফতাব উদ্দিন ও জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী ছমির উদ্দিন। নেত্রকোনা-২ (সদর-আটপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত চন্দ্র সরকার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আমজাদ হোসেন ঠাকুর ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মাজহারুল ইসলাম খান। নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী রিগ্যান আহমেদ।

নেত্রকোনা ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নব্বইয়ের গণআন্দোলনের নেতা শফী আহমেদ ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আল মামুন। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিসবাহুজ্জামান ও কৃষক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম।

কুমিল্লায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২ আওয়ামী লীগ নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল : কুমিল্লায় ২৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত ১২ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। এর মধ্যে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনের আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাইম হাসান, ফারুক হোসেন আকন্দসহ ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

কুমিল্লা-২ (মেঘনা-হোমনা) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ, শাহ আলম খন্দকার ও জাতীয় পার্টির এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলামসহ ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকার, রফিকুল ইসলাম ও রুহুল আমিনসহ আটজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস খন্দকারের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্যপদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহের, সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, জাহাঙ্গীর খান চৌধুরীসহ পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল : চট্টগ্রামে ৭টি আসনের ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হচ্ছেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে গোলাম নওশের আলী, মো. শাহজাহান, রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে নিজাম উদ্দিন নাছির, আমিন রসুল, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনে দিদারুল আলম, মো. সালাহ উদ্দিন, মো. ইমরান ও আখতার হোসেন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে নাসির হায়দার চৌধুরী ও মো. শাহজাহান, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে শফিউল আজম, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আবদুচ ছালাম, আরশেদুল আলম, বিজয় কুমার চৌধুরী ও মহিবুর রহমান বুলবুলের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

যশোরে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল : যশোরে বাতিলের মধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র ১১, জাতীয় পার্টির এক, জাকের পার্টির দুই, তৃণমূল বিএনপির এক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এক, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এক ও খেলাফত আন্দোলনের একজন। যশোর-১ (শার্শা) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তিনজনের। তারা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হাসান ও সোহরাব হোসেন এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী আক্তারুজ্জামান।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে দুজনের। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. শামছুল হক।

যশোর-৩ (সদর) আসনে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. তৌহিদুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির মো. কামরুজ্জামান, জাকের পার্টির মো. মহিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শেখ নুরুজ্জামান।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপসচিব সন্তোষ অধিকারী। যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন লাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান বারী ও জাকের পার্টির হাবিবুর রহমান।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম ও আজিজুল ইসলাম।

মাদারীপুর-১ আসনে জাপা প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল : আয়কর রিটার্নের কাগজ জমা না দেওয়ায় মাদারীপুর-১ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন সিদ্দিকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। কাগজপত্র সঠিক হওয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জে ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল : সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের চারটিতে ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) মনোনয়ন বাতিল তিনজন হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান, মো. শামসুল হক চৌধুরী ও ঋতেশ রঞ্জন দেব। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবারক হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আবুল ফজল মাসউদ, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) জাতীয় পার্টির (জেপি) মনির উদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবদুর জলিল ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের সাচ্চু মিয়ার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

বরিশাল বিভাগে ২৮ জনের মনোনয়ন বাতিল : বরিশাল জেলায় ছয়টি আসনে ৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তারা হচ্ছেন বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ রিয়াজ মোরশেদ জামান, বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলবার্ট বাড়ৈ, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির খান সাগর, মোহাম্মদ শাহরিয়ার মিয়া, নূরে আলম শিকদার। এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নুর ঋণখেলাপির অভিযোগে প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়। জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।

ভোলায় প্রার্থিতা বাতিল দুই প্রার্থীর। তারা হলেন ভোলা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান, ভোলা-২ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ভোলা-২ আসনে জাপা প্রার্থী মিজানুর রহমান।

ঝালকাঠী জেলায় ৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তার মধ্যে ৬ জনই ঝালকাঠী-১ আসনের। তারা হলেন আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান এমপি বজলুল হক হারুনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, জাপার মো. এজাজুল হক, স্বতন্ত্র নুরুল আলম ও ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুলের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে জাপার মো. নাসির উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

পিরোজপুর জেলায় মনোনয়ন ফরম বাতিল হয়েছে ৫ জনের। তারা হলেন পিরোজপুর-১ (সদর-ইন্দুরকানি-নাজিরপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আলাউদ্দিন খান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়ার হোসেন রিপন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. শাহ আলম এবং পিরোজপুর-২ (ভাণ্ডারিয়া-স্বরূপকাঠী-কাউখালী) আসনে জাপার মো. খলিলুর রহমান।

বরগুনা জেলায় ৪ জনের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তারা হলেন বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান ও নুরুল ইসলাম। বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে স্বতন্ত্র রফিকুল ইসলাম ও কংগ্রেস পার্টির আবদুর রাজ্জাক। একই আসনে জাপা প্রার্থী মিজানুর রহমানের ঋণ খেলাপির অভিযোগ উঠায় তার মনোনয়ন স্থগিত রাখা হয়েছে।

৮৮ লাখ টাকা কর না দেওয়ায় এবং ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার রাজস্ব আইনের মামলা আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন থাকায় পটুয়াখাীলী-১ (সদর-দুমকী-মীর্জাগঞ্জ) আসনে জাপার কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়নপত্র স্থগিত করেছেন পটুয়াখালীর রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতু আলম।

এছাড়া পটুয়াখালী-১ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাসির উদ্দিন ও জাকের পার্টির মিজানুর রহমান, পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে স্বতন্ত্র নুর মোহম্মদ ও পটুয়াখালী-৪ আসনে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাবিবুর রহমানের মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close