ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ৩০ নভেম্বর, ২০২৩

উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি

তবু এগিয়ে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই অলআউট বাংলাদেশ। পরের পুরে ম্যাচে ছিল আশা-হতাশার রূপায়ণ। উইলিয়ামসনের ক্যাচ ছাড়লেন তাইজুল ইসলাম, তিনি তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। পরে তাকেই ফিরিয়েছে তাইজুল। প্রায় প্রতিটি সেশনেই থাকল সমতা, শেষ সেশনটি বাংলাদেশ করে নিলো নিজেদের। দিনশেষে এগিয়েও আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৩১০ রানে। দ্বিতীয় দিনশেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান করেছে কিউইরা।

৯ উইকেটে ৩১০ রান নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ প্রথম বলেই হয় অলআউট। পরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ের শুরুটা করেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এক পেসার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ এই জুটিতে উইকেট পায়নি। বোলিং বদলাতেই বদলে যায় ভাগ্যও।

প্রথম উইকেটটা পান তাইজুল ইসলাম। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথমে একটি এলবিডব্লিউয়ের জোরালো আবেদন করেন তিনি। ওই ওভারেই তাকে সুইপ করতে গেলে ব্যাটের আগায় লেগে ক্যাচ যায় ফাইন লেগে দাঁড়ানো নাঈম হাসানের হাতে। ৪৪ বলে ২১ রান করেন তিনি।

তারপর দ্বিতীয় উইকেটটিও বাংলাদেশের জন্য আসে দ্রুতই। শরিফুলকে সরালেও আরেক প্রান্তে চালিয়ে যাওয়া মিরাজ এবার উইকেট নেন। ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে শাহাদাৎ হোসেন দীপুর দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ৪০ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডেভন কনওয়ে।

এরপর জুটি বাঁধেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। তারা দুজনই লাঞ্চে যান। সেখান থেকে ফেরার পরও স্পিনাররা উইকেট নিতে পারছিলেন না। এর মধ্যে ত্রাতা হন একমাত্র পেসার শরিফুল ইসলাম।

৪২ বলে ১৯ রান করা নিকোলস উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দেন। এরপর উইলিয়ামসনের সঙ্গী হন ড্যারল মিচেল। দুজন মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। সেটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম।

এগিয়ে এসে তাকে মিচেল খেলতে যান, তখন বল একটু শর্ট লেন্থে করেন তাইজুল; বল টার্ন করে বেরিয়ে যায়। বল পেয়ে স্ট্যাম্প ভাঙতে ভুল করেননি সোহান। মিচেল অবশ্য ফিরতে পারতেন আগেই কিন্তু তখন রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি বাংলাদেশের হতে পারত কিন্তু হয়নি তাইজুলের জন্য। নাঈম হাসানের বলে মিড অফে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামসনের লোপ্পা ক্যাচ ছাড়েন তিনি। এ নিয়ে লম্বা সময় ধরেই ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

জীবন পাওয়ার পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যান উইলিয়ামসন। মিচেলের পরে তিনি থাকতেই অবশ্য তার দুই সঙ্গীকে ফেরাতে পেরেছে বাংলাদেশ। টম ব্লান্ডেল একই রকম ক্যাচ দেন যেমনভাবে আউট হয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান, উইকেট নেন নাঈম হাসান। লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল ব্যাট ছুঁয়ে যায় সোহানের কাছে।

এরপর উইলিয়ামসন আরো একটি জুটি গড়েন টম ব্লান্ডেলের সঙ্গে। তাদের এই জুটি ভাঙেন মুমিনুল হক। দিনে বেশ কয়েকবার বোলিং বদলে সফল হন টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। মুমিনুল ইসলামকে নিয়ে এসেও পান সেটি।

তার কিছুটা টার্ন করা বলে স্লিপে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দেন ফিলিপস। ৬২ বলে ৪২ রান করেন তিনি। এর মধ্যে উইলিয়ামসন তুলে নেন সেঞ্চুরি। ডন ব্র্যাডম্যান, শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলির পর সবচেয়ে কম ইনিংসে ২৯তম টেস্ট সেঞ্চুরি পান তিনি।

দিনটা বাংলাদেশ নিজেদের করে নেয় উইলিয়ামসনকে ফিরিয়েই। ক্যাচ ফেলা দেওয়া শাপমোচনে হয় সেটি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে উইলিয়ামসনকে বোল্ড করেন তিনি। ১১ চারের ইনিংসে ২০৫ বলে ১০৪ রান করেন তিনি।

দিনের প্রথম দুই সেশনে সমান তালে পাল্লা দেওয়া বাংলাদেশ শেষ সেশনে এসে দিন নিজেদের করে নেয়। এই সময়ে চারটি উইকেট নেয় স্বাগতিকরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close