কুমিল্লা প্রতিনিধি

  ৩০ নভেম্বর, ২০২৩

কুমিল্লায় মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও মানুষ মেনে নেবে না

বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তাদের নির্বাচনে আসার বিষয়ে আমাদের সব সময় আহ্বান ছিল। আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে বারবার উৎসাহিত করেছি। কিন্তু তারা দেশের সংবিধান মানবে না, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতি কোনো সম্মান প্রদর্শন করবে না এবং নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না। তাদের চিরচেনা রূপ জ্বালাও-পোড়াও করা।

তবে বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও এদেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কুমিল্লা-৯ (লাকসামণ্ডমনোহরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে এদিন সকালে মন্ত্রী তার নিজ গ্রাম উপজেলার পোমগাঁও গ্রামে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পিতা-মাতার কবর জিয়ারত ও দোয়া মোনাজাত করেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনকালীন বিএনপি নির্বাচন করতে দেবে না বলে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। এমন লজ্জাজনক ঘটনার অভিজ্ঞতা এদেশে মানুষের অতীতে ছিল না। পরবর্তীতে মানুষ তাদের মোকাবিলা করেছিল। অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক এ অভিজ্ঞতা মোকাবিলা করার শক্তি সামর্থ্য বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করেছে। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তারা আজ অনেক দুর্বল। তারা যখন সবল ছিল, অনেক শক্তিশালী ছিল তখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের মোকাবিলা করেছিল। আর এখন তো তারা অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই দেশের মানুষ জানে কীভাবে তাদের প্রতিহত করতে হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রতি পাঁচ বছর পর পর সঠিক সময়ে মহান জাতীয় সংসদের নির্বাচন হওয়া অপরিহার্য। দেশ জাতি ও মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত স্বাধীনভাবে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। আমিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত একজন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সব নাগরিক এ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমি আশা করি, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষের বিপুল ভোটের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠনের যেই আকাঙ্ক্ষা- তা পূরণ হবে।

বিএনপির চলমান কর্মসূচি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মানুষের জনসমর্থন হারিয়েছে। তাই হরতাল ও অবরোধের নামে তাদের কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের সম্পৃক্ততার কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের বিগত প্রতিটি কর্মসূচিতে রাজধানীতে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক দেখেছি আমি। এরপরও তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইলে জনগণ তাদের ছাড় দেবে না।

এদিকে, এদিন দুপুরে মনোহরগঞ্জের পর মন্ত্রী লাকসামে গিয়েও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কুমিল্লা-৯ (লাকসামণ্ডমনোহরগঞ্জ) আসনের সংসদীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন তরুণ শিল্পপতি মাইদুল ইসলাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, লাকসাম পৌর মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের, মনোহরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, বৃহত্তর লাকসাম বঙ্গবন্ধু ফোরাম চট্টগ্রামের সভাপতি নজরুল ইসলাম, ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ওহিদ উল্লাহ মজুমদার, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্লাহ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক কামাল হোসেনসহ আরো অনেকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close