নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ মে, ২০২৩

খালেদার নাইকো দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্যে দিয়ে ষোলো বছর আগের নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিচার শুরু হয়েছে। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতে মঙ্গলবার এ মামলায় প্রথম সাক্ষ্য দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময়ের আবেদনে আংশিক সাক্ষ্য নিয়ে আগামী ২০ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ রাখেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে করা আবেদন শুনানির জন্য থাকায় সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করা হয়। কিন্তু বিচারক প্রথমে তা নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। পরে আবারও সময়ের আবেদন করা হয়।

গত ১৯ মার্চ এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন একই বিচারক। ২৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রেখেছিলেন তিনি। তবে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ছয় দিন আগে ১৭ মে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে ৩৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১০ বছরের এবং জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের সাজা হয়েছে।

ওই দুই মামলায় সাজা খাটার মধ্যেই পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের মার্চে সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। বাসায় থেকে চিকিৎসা করার এবং বিদেশে না যাওয়ার শর্তে তিনি গুলশানের বাসায় থাকছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close