নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’

নিজের ভাষায় কথা বলার, লিখতে পারার, গান গাইতে পারার স্বাধীনতার লড়াইয়ের নাম ভাষা আন্দোলন। তাই বলা হয়, একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত না করা। একুশ মানে বিজয়ের লক্ষ্যে আত্মত্যাগ। একুশ মানে শাসকের অপতৎপরতা প্রতিরোধ করার অপ্রতিরোধ্য সংগ্রাম, শক্তি, সাহস। একুশকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক গল্প-কবিতাণ্ডউপন্যাস। ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়ে একুশের নামকে আরো মহিমান্বিত করেছে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ।

একুশের প্রথম কবিতা : একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে প্রথম রচিত কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’। রচয়িতা মাহবুবুল আলম চৌধুরী। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় কবিতাটি রচিত হয়। কবিতাটি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাঠ করেন চৌধুরী হারুনুর রশিদ।

প্রথম ভাষা শহীদ : একুশের প্রথম শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ। তিনি ছিলেন মানিকগঞ্জের আবদুল লতিফের বড় ছেলে। তার মায়ের নাম রাফিজা খাতুন। সিংগাইর উপজেলার পারিল গ্রামে ছিল তাদের বাড়ি। ঘটনার সময় শহীদ রফিকের বয়স হয়েছিল ২৬ বছর। পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ব্যারাকে আশ্রয় নেওয়ার সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন রফিক। গুলিতে তার মাথার খুলি উড়ে যায়।

প্রথম শহীদ মিনার : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের যে চেহারা আজ আমরা দেখি, আদিতে তার রূপ কিন্তু মোটেও এমন ছিল না। তখন এটি ছিল ১১ ফুট লম্বা ত্রিস্তরবিশিষ্ট একটি স্তম্ভ। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রনেতা গোলাম মওলা ও তার সহযোগীদের উদ্যোগে স্তম্ভটি গড়ে তোলেন মেডিকেলের ছাত্ররা।

প্রথম সিনেমা : একুশের চেতনা নিয়ে প্রথম নির্মিত সিনেমা ‘জীবন থেকে নেওয়া’। ১৯৭০ সালে জহির রায়হান সিনেমাটি পরিচালনা করেন। সিনেমাটি সে সময় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখে সিনেমাটি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close