নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

ভোলার গ্যাস আগামী মাসেই জাতীয় গ্রিডে

দ্বীপ জেলা ভোলায় উত্তোলিত প্রাকৃতিক গ্যাস আগামী মাসেই জাতীয় গ্রিডে আনার খবর দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে পাইপলাইনে নয়, আপাতত সিএনজিতে রূপান্তর করে কনটেইনারে ভরে মূল ভূখণ্ডে এনে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে ভোলার গ্যাস।

বিশ্ববাজারে গ্যাসের উচ্চমূল্য এবং দেশে সরবরাহ সংকটের মধ্যে ভোলায় নতুন একটি কূপে গ্যাসের বড় মজুদের সন্ধান মিলেছে, যেখান থেকে দিনে ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। বাপেক্স ওই খবর দেওয়ার পরদিন মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আনার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

‘আগামী মাস থেকে ভোলা থেকে গ্যাস নিয়ে আসতে পারব। আমরা আগেই বলেছিলাম, সিএনজি আকারে গ্যাস নিয়ে আসব। এখন সেই প্রস্তুতিই চলছে।’

ভোলায় গ্যাস কূপের সংখ্যা এখন ৯টি। দ্বীপ জেলাটির গ্যাস জাতীয় গ্রিড গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশের (জিটিসিএল) সঞ্চালন পাইপ লাইনে এখনো দেওয়া যাচ্ছে না। সেখানে উত্তোলিত গ্যাস এখনো সেখানকার বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং স্থানীয় চাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্মেলনে সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনে সৌর প্যানেল স্থাপন করে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের কোনো বক্তব্য ছিল না।

সংবাদ সম্মেলনে নসরুল বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের উদ্দেশে আমরা বলেছি যে, চলতি বছরটি আমাদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের বছর। আগামী মাস থেকে সেচ মৌসুম, তারপর রোজার মাস শুরু হবে। বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের দামের অবস্থাও ঊর্ধ্বমুখী। সবকিছু মাথায় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’ ‘বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বলেছি। পাশাপাশি বকেয়া বিলগুলো আদায় করে দিতে বলেছি। সামনের মাস থেকে যেহেতু সেচ শুরু হবে, সেখানে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা যেন জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে।’ চলমান সংকটকালে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে হাসপাতাল, সেচ, শিল্প, সার কারখানাকে অগ্রাধিকার পাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পরিত্যক্ত জমিগুলো সৌর বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা যায় কি না সে বিষয়ে নজর দিতে বলেছেন ডিসিদের। ‘সরকারি স্কুল ও সরকারি অফিসের ছাদগুলো সোলার ও নেট মিটারিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা যায় কি না, সে বিষয়েও আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close