সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৫ অক্টোবর, ২০২২

তাড়াশে আলোর ফাঁদে পোকা দমন

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ধানখেতে কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে আলোর ফাঁদে ধানের ক্ষতিকর পোকা দমনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতির নাম আলোর ফাঁদ। ফসল সুরক্ষায় আলোর ফাঁদের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে ক্ষতিকর পোকা দমনের পাশাপাশি উপকারী পোকা শনাক্ত করে অবমুক্তি করতে সুবিধা হয়। এরই মধ্যে তাড়াশ উপজেলায় এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আলোক ফাঁদে ধানের পোকা দমন পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। এই ফাঁদ তৈরিতে হারিকেন, বৈদ্যুতিক বাল্ব ও সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধানখেত থেকে ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের খুঁটির সাহায্যে মাটি থেকে ২-৩ ফুট ওপরে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এর নিচে একটি পাত্রে ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখা হয়। সন্ধ্যার পর এই আলোক ফাঁদের আলোয় আকৃষ্ট হয়ে ধানখেতের ক্ষতিকারক বিভিন্ন পোকামাকড় এসে পাত্রের পানিতে পড়ে মারা যায়।

উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বৈদনাথপুর গ্রামের কৃষক আবু তালেব জানান, আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে ধানসহ ফসলের ক্ষতিকর ও উপকারী পোকার উপস্থিতি নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অতি অল্প খরচে তৈরি এ আলোক ফাঁদ অন্ধকার রাতে দেখতেও বেশ দৃষ্টিনন্দন। জমিতে অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা কমে আসছে। ফলে একদিকে যেমন কৃষকের অর্থনৈতিক সাশ্রয় হচ্ছে। তেমনি উৎপাদন খরচ কমে যাচ্ছে। অপরদিকে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থ সাশ্রয়ী পদ্ধতি। এতে চাষিরা নিজেরাই ক্ষতিকর ও উপকারী পোকা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাই কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব ও ধানের ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করতে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার প্রতিটি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close