এস এইচ এম তরিকুল, রাজশাহী

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘দুর্গাপূজায় রাজশাহীতে নাশকতার শঙ্কা নেই’

মহালয়া থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত পূজার সার্বিক নিরাপত্তায় সারা দেশের মতো অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে রাজশাহী মহানগর ও জেলা পুলিশের সদস্যরা। পাশাপাশি পূজার চার দিন থাকবেন আনসার সদস্যরাও। আর গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্যানুযায়ী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে কোনো নাশকতার শঙ্কা পাওয়া যায়নি। তার পরও পূজা নিরাপদ ও নির্বিঘেœ অতিবাহিতের লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সদস্যদেরও সজাগ দৃষ্টি থাকবে। ফলে কোনোপ্রকার বিশৃঙ্খলা ঘটানোর সুযোগ নেই। এর পরও যেকোনো মাধ্যমে কেউ বিশৃঙ্খলার ন্যূনতম চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না।

দুর্গাপূজার নিরাপত্তার বিষয়ে এমনটিই জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ডেপুটি কমিশনার (ডিসি, সদর) মো. সাইফ উদ্দিন শাহীন ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র (এসপি, এসবি) মো. ইফতে খায়ের আলম।

এর পরও পূজা চলাকালীন যেকোনো অনিয়ম চোখে পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরার আগে, স্থানীয় পুলিশ বা পূজা উদযাপন কমিটি অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে কাউকেই কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ারও আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, গুজবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেউ যেকোনো মাধ্যমে বিশৃঙ্খলার ন্যূনতম চেষ্টা করলে ছাড় দেওয়া হবে না। আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পক্ষে কোনো প্রভাবশালী ইন্ধনদাতা হলেও আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। এই নির্দেশনা শুধু এই পূজা উপলক্ষেই নয়, মাদক ও জঙ্গিবাদসহ সব সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধেই সরকার প্রধানের এমন নির্দেশনা রয়েছে। ফলে এগুলো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যে ব্যক্তিই জড়িত থাকুক না কেন, পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ডেপুটি কমিশনার (ডিসি, সদর) মো. সাইফ উদ্দিন শাহীন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব শেষ করতে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে আরএমপি কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ নিজ এলাকার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তাতে কোনোপ্রকার শঙ্কার বিষয় কেউ উপস্থাপন করেননি। তার পরও সংশ্লিষ্ট থানা ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর কারুশিল্পীরা।

জানা গেছে, এ বছর রাজশাহী মহানগরীসহ জেলার ৯ উপজেলায় ৪৫০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী মহানগরীতে পূজামণ্ডপ রয়েছে ৭৬টি। আর জেলার বাগমারা উপজেলায় ৮০টি, দুর্গাপুর উপজেলায় ১৭টি, বাঘায় ৪৬টি, চারঘাটে ৪০টি, তানোরে ৬০টি, গোদাগাড়ীতে ৩৯টি, পুঠিয়ায় ৫২টি, পবায় ১৮টি ও মোহনপুর উপজেলায় ২২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close