বিনোদন প্রতিবেদক
আহমেদ রুবেলকে নিয়ে শাহেদ আলীর আক্ষেপ
মৃত্যুকে কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। তবে মানুষ স্বাভাবিক নিয়মে প্রিয়জনের প্রস্থান কামনা করে। কিন্তু চাইলেই তো সবকিছু পূরণ হয় না। তেমনই প্রকৃতির অমোঘ ডাকে সাড়া দিয়েছেন অভিনেতা আহমেদ রুবেল। অকালে সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেছেন।
আহমেদ রুবেল নিজের অভিনীত সিনেমার মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। তার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।
৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছায়াবীথির বাড়ি থেকে আহমেদ রুবেল তার অভিনীত ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে অংশগ্রহণ করতে এসে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারলেন না। তাকে হারিয়ে অনেক সহকর্মী স্মৃতি কথা লিখছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অভিনেতা শাহেদ আলী তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন আহমেদ রুবেলকে নিয়ে। এতে আক্ষেপের সুরে কিছু প্রশ্ন তুলছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের একজন মোশারফ করিম আছে, আমাদের একজন চঞ্চল চৌধুরী আছে, আমাদের একজন আফরান নিশো আছে ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কই! বেঁচে থাকা অবস্থায় কোনো দিন তো কাউকে বলতে শুনিনি আমাদের একজন আহমেদ রুবেল আছে!’ অভিনেতা শাহেদ আলীর স্ট্যাটাসের প্রতিটি লাইনেই যেন আক্ষেপ ঝরে পড়ছে।
এদিকে আহমেদ রাজিব রুবেল ওরফে আহমেদ রুবেল ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্ত্রীসহ পরিবারের সঙ্গে ঢাকার গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
সেলিম আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে আহমেদ রুবেলের অভিনয়ে হাতেখড়ি। আহমেদ রুবেল অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’। এ ছাড়া ‘বনপাংশুল’, ‘যৈবতী কন্যার মন’, ‘হাতহদাই’, ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
এরপর তিনি হুমায়ূন আহমেদের ঈদনাটক ‘পোকা’য় অভিনয় করেন। যেখানে তার অভিনীত ‘ঘোড়া মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০০৫ সাল থেকে টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো, ‘অতিথি’, ‘নীল তোয়ালে’, ‘বিশেষ ঘোষণা’, ‘প্রতিদান’, ‘নবাব গুণ্ডা’ ও ‘এফএনএফ’। আহমেদ রুবেল ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। পরে তিনি অভিনয় করেছেন ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘গেরিলা’সহ বেশ কিছু সিনেমায়। ২০১৪ সালে ভারতের নির্মাতা সঞ্জয় নাগ পরিচালিত সিনেমা ‘পারাপার’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
"