সাইদুর রহমান শাহিদ, ঢাবি

  ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

চাপা পড়ার আতঙ্ক থেকে বাঁচতে চাই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী একটি হলের নাম হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল। এটি ১৯৬৭ সালে স্থাপিত ছয়তলা একটি ভবন। ওই হলে সারা বছরই আনুমানিক ৩৫০০-৪০০০ শিক্ষার্থীর বসবাস। এত বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীর জায়গা সংকুলান না হওয়া সত্ত্বেও নিরুপায় হয়ে গাদাগাদি করে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। ওই হলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই মেঝেতে বিছানা পেতে কোনো রকম মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যানটিনের স্বাদ ও পুষ্টিগুণবিহীন খাবার, কক্ষগুলোতে ছাড়পোকার উপদ্রব, পাঠকক্ষের অপর্যাপ্ততা এতসব সমস্যাকে ছাপিয়ে যে সমস্যাটি শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করে রাখে সেটি হলো এই হলের ভবনের ঝুঁকিপূর্ণতা আর ভঙ্গুর দশা। দিনে-দুপুরে, সকাল-সাঁঝে খসে পড়ছে ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা আর ছাদ। প্রত্যেকটা কক্ষের কোথাও না কোথাও ছাদের ঢালাই খসে পড়ে বেড়িয়ে আছে মরিচাধরা রড। রডগুলোতেও যে আর বল নেই সেটাও বোঝা যায় সেগুলোর অবয়ব দেখেই। দেশে ভূমিকম্পের আশঙ্কার খবর প্রকাশ হলেই শিক্ষার্থীরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু ওই হলের ঝুঁকিপূর্ণতা নিয়ে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন উদাসীন। বারবার ভবনের ভঙ্গুর দশার কথা হল প্রশাসন সচক্ষে দেখার পরেও এবং উপাচার্য মহোদয়কে বারবার এ ব্যাপারে অবগত করা হলেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এদিকে দিনে দিনে ভবনটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে এবং তা ভূমিকম্পে ধসে পড়ার ভয়ও বাড়ছে। ফলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এমতাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close