reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২০ মার্চ, ২০২৩

স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিসীম। আমাদের জাতীয় দিবস হিসেবে যতগুলো দিন রয়েছে, স্বাধীনতা দিবস তার মধ্যে অন্যতম। এ দিনটি শুধু ঐতিহাসিক তাৎপর্যেই অসাধারণ নয়, নবীন জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার শপথে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করার দিন হিসেবেও অনন্যসাধারণ। মূলত ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঘোষিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। এর পরপরই শুরু হয় প্রতিরোধ ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দেশ স্বাধীন করার প্রত্যয়ে দৃঢ়চিত্ত বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ দিনটি একটি মাইলফলক। আর স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে কি ভাবছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা? স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তরুণ-শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এনামুল হক

জনমানসের সার্বিক মুক্তি নিশ্চিত হোক

স্বাধীনতা যেকোনো জাতির জীবনে আরাধনার বিষয়, এক গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় অধ্যায়। ২৬ মার্চ বাঙালি স্বজাত্য বোধের প্রথম স্বীকৃতি। স্বাধীনতা বাংলা অক্ষরে লিখিত কোনো সাধারণ শব্দ নয়, নয় কোনো রাজনীতিবিদের বারবার উচ্চারিত অনর্থক বাণী। স্বাধীনতা হলো বাংলাদেশ নামক দেশটির নব সূচনার জন্য দুর্ভিক্ষ, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, বৈষম্য অনাচার দূরীকরণে শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, ধর্ষিতা নারীসহ আপামর জনসাধারণ ও কৃষকের ঘাম ঝরা শ্রমের সংমিশ্রণ এবং চিন্তায়-বোধে-মননে এর চেতনা ও আদর্শ লালনের মহান প্রত্যয়। কিন্তু এ কথা অনিবার্য, দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরও জনমানসের সার্বিক মুক্তি এখনো আসেনি। অগণিত প্রাণ ও একসাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল মূলত সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক, নৃ-তাত্ত্বিক এমনকি মনস্তাত্ত্বিক কারণে। পরিতাপের বিষয়, বর্তমানে সমাজের নানা স্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রয়োগের তুলনায় অপপ্রয়োগ বেশি ঘটছে। জর্জ বার্নাড শ’র মতে, ‘স্বাধীনতা মানে দায়িত্ব’। তাই জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, উগ্রবাদ, মাদক, ধর্ষণসহ স্বাধীনতাবিরোধী সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে গণতান্ত্রিক ধারায় আইনের শাসন নিশ্চিত, অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে জনমানসের সার্বিক মুক্তি নিশ্চিত করতে পারলে স্বাধীনতা আরো অর্থবহ হবে বলে মনে করি।

চন্দন মণ্ডল

শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ

সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা

স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পাক নারীসমাজ

‘স্বাধীনতা তুমি-উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।’ সত্যিই স্বাধীনতা শব্দটি মনে করিয়ে দেয় বাংলার মাটিতে লাখো মা-বোনের স্বামী, সম্ভ্রম হারানোর ইতিহাস। হত্যা, লুটপাট, অনিয়ম, ধর্ষিতা নারীর আর্তনাদের বিরুদ্ধে বাংলার দামাল সন্তানদের আত্মত্যাগের সংমিশ্রণ এটি। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরা ছিনিয়ে এনেছিল লাল সবুজের এক টুকরো বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতার এতকাল পরও বাংলার বুকে নারীরা অনিরাপদ। প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণ-সম্ভ্রমহানির ঘটনা ঘটে স্বাধীন এই বাংলায়। লাখো বীরাঙ্গনাদের ত্যাগে গড়া এই বাংলাদেশে নারীদেরই আজ মুক্তবিহঙ্গের মতো চলা দায়। স্বাধীনতার নিবিড় আবেগে শত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে যাক বাংলার নারীসমাজ। নারীরা একাত্তররূপী হয়ে জেগে উঠুক আরেকবার। প্রতিটি নারীই যেন পায় স্বাধীনতার স্বাদ, স্বাধীনতার মাসে এই হোক আমাদের তীব্র অঙ্গীকার।

সাইদুন্নিছা তোহ্ফা

শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ

‘স্বাধীনতা হোক উদ্দীপ্ত মনের জোয়ার’

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে সূচনা হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা বিজয় অর্জন করি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। তারপর থেকেই প্রতি বছর ২৬ মার্চকে পালন করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। এই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা অর্জন করতে বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম, দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত। ২৬ মার্চ এই দিনটি প্রত্যেক বাংলাদেশির জীবনে বয়ে আনে একই সঙ্গে আনন্দণ্ডবেদনা-গৌরবের এক অম্ল-মধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট, অন্যদিকে মুক্তির আনন্দ। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ছাড়িয়ে স্বাধীনতাপ্রাপ্তির অপার আনন্দই বড় হয়ে ওঠে প্রতিটি বাঙালির কাছে। গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি প্রতি বছর আসে আত্মত্যাগ, আত্মপরিচয় ও একতার বার্তা নিয়ে। সেই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য। নব উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে আসে এই দিন। আমাদের উচিত এই দিনটিকে শক্তিতে পরিণত করে নতুন দিনের পথে এগিয়ে চলার।

তারেক আল মুনতাছির

শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ

ওমরগণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম

স্বাধীনতা রক্ষায় মনোনিবেশ প্রয়োজন

চিন্তায়-চেতনায়-বোধে-মননে ১৯৭১ সালে বাঙালি যেভাবে দৃঢ়চিত্তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিল আর কখনো এমন একতাবদ্ধ হয়েছে বলে মনে হয় না। সেদিন বঙ্গবন্ধুর এক ডাকে সবার চোখে-মুখে মুক্তির যে প্রত্যয় ছড়িয়ে পড়েছিল, তা এক সুদীর্ঘ এবং কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেই ক্ষ্যান্ত দিয়েছে বাঙালি। কথায় আছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। স্বাধীনতা যেমন চিরস্থায়ী নয়, স্বাধীনতার শত্রুদের সঙ্গে লড়াইও তেমন শেষ হওয়ার নয়। স্বাধীনতার আদী শত্রুরা বিলুপ্ত হয়নি, বরং ফুলে-ফেঁপে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। আর কিছু নয়, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, সন্ত্রাস, স্বজনপ্রীতি এগুলোই বাঙালির চরম শত্রু। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের যে বৈষম্যবাদী এবং স্বজনপ্রীতিনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বাঙালি সেই দুর্নীতি কিংবা স্বজনপ্রীতি চিরস্থায়ীভাবে বিদায় হোক। ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং বেকারত্বমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হোক। অক্ষত থাকুক আমাদের স্বাধীনতা।

নুসরাত জাহান

শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ

কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ

যে নামের মাঝে আমার স্বাধীনতা

এই বীর বাঙালির শক্তি সামর্থ্যরে স্পৃহা যে এতটা তীক্ষè ও ধারালো বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সেটা বহু আগেই উপলব্ধি করেছেন। কেননা তার জীবটাও একটি মহা-যুদ্ধাভিযানের মতোই ছিল। জীবনের সব ঝঞ্ঝা-বঞ্চনাকে উপেক্ষা করে তিনিও তার জীবনের স্বাধীনতা খোঁজে নিয়েছিলেন স্বাধীনচেতা লেখনীর মাধ্যমে। তার বিদ্রোহী কবিতার নায়ক যদি খোঁজতে চান বাঙালি জাতির ইতিহাসের পাতায়, খোঁজে পাবেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কাজী নজরুল হয়তো এই বীরের আগাম বার্তা বাংলার আকাশে-বাতাসে বয়ে চলা মুক্তির ঝঞ্ঝাবায়ুর ধ্বনি শুনতে পেয়েছিলেন। যে বীরের ছবি তিনি এঁকে ছিলেন তার বিদ্রোহী কবিতায়। সে বীরের আগমন যে আর দূরে নয় সব দাসত্বের বন্ধন নিশ্চিহ্ন করে, উৎপীড়নের কান্নাকে মায়া-মমতা ও ভালোবাসার চাদরে যিনি আগলে নেবেন সেই তো কবির বিদ্রোহী কবিতার সিংহ পুরুষ আমাদের বাঙালি জাতির একমাত্র নেতা বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের বীজ বপন। ১৯৫৪-এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান। ১৯৭০-এর নির্বাচন এবং ১৯৭১-এর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা। সবই তো একজন বীরের হাত ধরেই সূচিত এবং ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় অর্জন সবই যে তারই নেপথ্যে গাথা।

মোহাম্মদ শাহজাদা হোসেন শায়বান

ইংরেজি বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষ, চট্টগ্রাম কলেজ

স্বাধীনতার দিবসের ইতিকথা

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বাঙালির ইতিহাসের এক রক্তমাখা ভোর। সেদিন ভোরের সূর্য রক্তিম আলোর চেয়েও বেশি তীব্র ছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মাটি, যা আমাদের আজকের বাংলাদেশ। ২৫ রাত থেকে ২৬ মার্চ ভোর পর্যন্ত পাকিস্তানি হায়েনারা ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নৃশংসভাবে গুলি চালায়, তারা চেয়েছিল বাংলা বুলি কেড়ে নিতে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল বাঙালিরা সিংহেরপাল। তাই পরের দিন বাঙালিদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারা দেশে এ ঘোষণা ছড়িয়ে পড়লে বাঙালির রক্তে আগুন লাগে, দেশ স্বাধীন করতেই হবে। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বাঙালিরা বিজয়ী হয়। আর পাকিস্তানি হায়েনারা সেদিন এ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু এত ত্যাগে অর্জিত বাংলা ভাষার প্রয়োগ যেন ভুলেই যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের অনেকে। এ দেশের সেই রক্তক্ষয়ী দিনগুলোর ব্যাপারে প্রশ্ন করলে অনেকেই ব্যর্থ হয়। বাঙালি আজও এই দিনটি পালন করে ও শ্রদ্ধা সহকারে স্মরণ রাখে শহীদদের। কিন্তু এই শ্রদ্ধার সংখ্যা যেন দিনে দিনে কমছে অজ্ঞানতার কারণে। রক্তক্ষয়ী সেদিনগুলো যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মরাও আগলে রাখে পরম যত্নে এবং তাদের আদর্শে যেন বাঙালি চিরকাল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়। সব আঁধার পেরিয়ে বাঙালি চিরকাল একাত্তরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে স্মরণ রাখুক।

হালিমা বিবি

শিক্ষার্থী, ইবনে সিনা নার্সিং ইনস্টিটিউট

কল্যাণপুর, ঢাকা

তেইশ বছরের শোষণমুক্তি স্বপ্নসাধ অর্জন

২৬ মার্চ ১৯৭১ এ দেশের মুক্তিকামী জনগণের জীবনে এসেছিল বহু ত্যাগ ও আত্মদানের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ ব্রিটিশ শাসন ও শোষণের অবসানের পর ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে দুটি নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয় ভারত ও পাকিস্তান নামে। আর পাকিস্তান গঠিত হয় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে দুটি প্রদেশ নিয়ে। যেখানে পূর্ব পাকিস্তান হলো বর্তমান বাংলাদেশ। দীর্ঘ ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতবর্ষ মুক্তি পেলেও মুক্তি পায়নি পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীরা পূর্ব পাকিস্তানের ওপর প্রায় সবদিকে শোষণ ও নিপীড়ন করতে থাকে। যার ফলে ১৯৫২ সালে ভাষা রক্ষার জন্য ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬-এর বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান-অগণিত আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি যে স্বপ্নকে বুকে নিয়ে অগ্রসর হয়েছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের বিশাল জয়ের মাধ্যমে প্রমাণ পায় পশ্চিম পাকিস্তানিরা। এরপর তারা শুরু করে নানা তালবাহানা। যার ফলে একাত্তরের রক্তাক্ত মার্চের অসহযোগ আন্দোলন পেরিয়ে ছাব্বিশে মার্চেই সেই স্বপ্ন পরিণত করেছিল মহান স্বাধীনতার রূপ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে যখন পাক-হানাদার বাহিনীরা গণহত্যা চালিয়ে নৃশংসভাবে মানুষহত্যা করে। তারপর থেকে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে অনুপ্রেরণা ও বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে সেই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। মুক্ত হয় বাঙালি জাতি। দেশ পায় স্বাধীনতা।

গাজী মো. আরাফাত হোসেন

শিক্ষার্থী, স্নাতক ২য় বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ

চট্টগ্রাম কলেজ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close