ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার নির্বাচনের মধ্যে এরই মধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনেই টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর সেই লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার বারানসি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য বারানসি থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই নির্বাচনী এলাকা থেকেই তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হতে চাচ্ছেন তিনি। এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করার এক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রোডশো করেছেন। আর সেই রোডশো থেকে আবারও ক্ষমতায় গেলে শহরের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য আরো অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে মোদি লিখেছেন, আমি অভিভূত এবং আবেগপ্রবণ! তোমার স্নেহের ছায়ায় কীভাবে ১০ বছর কেটে গেল তা আমি বুঝতেও পারিনি। আমি বলেছিলাম, মা গঙ্গা আমাকে ডেকেছিল। আজ মা গঙ্গা নে মুঝে গোদ লে লিয়া হ্যায় (আজ মা গঙ্গা আমাকে কোলে নিয়ে নিয়েছেন)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মনোনয়ন পেশের আগে একাধিক কর্মসূচি পালন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদির। সোমবার বিকেলেই তিনি বারানসি পৌঁছে যান। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একটি রোডশোতেও অংশ নেন তিনি।

এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু করেন মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি। সাড়ে ৯টার দিকে দশাশ্বমেধ ঘাটে গিয়ে পূজা দেন মোদি। এদিন সকালেই কাশীর স্মৃতিবিজড়িত একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ক্যাপশনে লেখেন, কাশীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। সেটা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।

দশাশ্বমেধ ঘাট থেকে বিখ্যাত কাল ভৈরবের মন্দিরে যান মোদি। সকাল সোয়া ১০টায় সেখানে পূজা দিয়ে এনডিএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জানা গেছে, পৌনে ১১টার দিকে শুরু হয় ওই বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংসহ এনডিএ দলগুলো।

এ ছাড়া একঝাঁক মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদির বৈঠকে। বিহারের নীতীশ কুমার ছাড়াও প্রত্যেকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ছিলেন। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন জমা দেন মোদি। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন মোদি।

এ আসন থেকে গত দুবার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন মোদি। জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে ফের নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নামেন তিনি। অবশ্য কয়েক দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী মোদি তার ভাষণে মুসলিমদের টার্গেট করেছেন। গত রবিবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে গিয়েও হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের তাস খেলেছেন। নিশানা করেছেন মুসলিমদের। কিন্তু নিজের নির্বাচনী আসনের রোডশোতে ‘সবকা সাথ’ বার্তা দিতে ভোলেননি।

"