প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাখাইনে শহর দখলে গিয়ে ৮০ জান্তা সেনা নিহত

রাখাইনের উপকূলীয় শহর রামরি পুনর্দখলে আকাশপথে আসা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৮০ সেনাকে হত্যার দাবি করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তাদের দাবি, তিন দিনের যুদ্ধে ওই সেনারা নিহত হয়েছে।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বলছে, আরাকান আর্মির সদস্যদের ঠেকাতে গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চারটি হেলিকপ্টারে করে রামরি শহরে পাঠানো হয়েছিল ১২০ জন সেনাকে। ওই সেনাসদস্যরা আইয়ারওয়দি অঞ্চলের কিউনপও শহরের ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৬ এবং রাখাইনের আন শহরের লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৭৩-এ কর্মরত ছিল। আরাকান আর্মির দাবি, শনিবারের যুদ্ধে জান্তা সেনাদের মধ্যে ৬০ জন নিহত হয়। আর সোমবার পালানোর সময় নিহত হয় আরো ২০ জন।

এদিকে মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের ৭টি শহরে আগামী বছরের মধ্যে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী পালাউং স্টেট লিবারেশন ফ্রন্ট (পিএসএলএফ)। ইরাবতী এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএসএলএফ হলো তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) রাজনৈতিক শাখা। ১৯৯২ সালে থাইল্যান্ড সীমান্তে গঠিত হয় গোষ্ঠীটি।

টিএনএলএ দেশটির ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য। জোটটির অন্যতম সদস্য মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এবং আরাকান আর্মি। গত বছরের ২৭ অক্টোবর থেকে উত্তর শান রাজ্য থেকে তাদের তৎপরতা শুরু করে জোটটি। তাদের হাতে এখন পর্যন্ত জান্তার ২০টি শহর ও চীন সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটের পতন হয়েছে।

অন্যদিকে, মিয়ানমারের সাগাইন নামের একটি এলাকা দখলে নেওয়ার পর প্রায় পুরো একটি শহর জ্বালিয়ে দিয়েছে জান্তা বাহিনী। সপ্তাহ দুয়েক আগে কাউলিন নামের ওই শহরটি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে দখল করে নেয় জান্তা সেনারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের প্রায় ৮০ শতাংশই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, ড্রোন থেকে নেওয়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, শহরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গেছে। এর আগে, গত বছরের নভেম্বরের ৬ তারিখে জাতীয় ঐক্যের সরকারের সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স ওই শহর দখল করে নেয়। পরে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি জান্তা বাহিনী শহরটি পুনর্দখল করে। জানা গেছে, শহরটির ৮টি ওয়ার্ডে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া এর আশপাশের আরো ১০টি গ্রামেও আগুন দিয়েছে জান্তা সেনারা।

এ বিষয়ে কাউলিন শহরের পিডিএফ বাহিনীর এক সদস্য ইরাবতিকে বলেছেন, কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই ঘটনার দিন ইন বোকে গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

কাউলিন দখল করার পর থেকে শহরের বড় দালানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জান্তা বাহিনী এবং তাদের দৃষ্টিসীমার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন সব স্থাপনা তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। অগ্নিসংযোগের কারণে কাউলিন শহর ও আশপাশের গ্রামগুলোর অন্তত ২৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close