প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ১১৭ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয় : জাতিসংঘ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮ হাজার ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরে ১১৭ জন নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
চার মাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানে ইসরায়েলি সৈন্যদের তাণ্ডবে হাজারো শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া খাদ্য এবং নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয়। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই এখন একবেলা খাবার জোটাতেও হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে সামরিক বাহিনীকে রাফাহ থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়া এবং হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত প্রশ্ন করেছেন যে, পরিকল্পিত হামলার মধ্যে বেসামরিকদের কোথায় সরিয়ে নেওয়া হবে? কারণ গাজায় এখন আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ কোনো স্থান আর নেই।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই এখন রাফাহ শহরে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু সেখানে কোনো বাড়িঘর নেই, আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গাও নেই।
গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আর কয়েক মাসের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণ বিজয় সম্ভব হবে।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর গত পাঁচ মাসের মধ্যে সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
"