প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
তরুণ-তরুণীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করল জান্তা
মিয়ানমারের চলমান সহিংসতার মধ্যেই দেশটির তরুণ-তরুণীদের জন্য নতুন নিয়ম জারি করেছে জান্তা সরকার। দেশটির সব তরুণ ও তরুণীর সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে জান্তা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে গতকাল রবিবার এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে ১৮-৩৫ বছর বয়সি সব পুরুষ এবং ১৮-২৭ বছর বয়সি নারীদের বাধ্যতামূলক দুই বছর পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে।
এ ছাড়া ৪৫ বছর বয়সি চিকিৎসকদের বাধ্যতামূলক তিন বছর সেনাবাহিনীতে সেবা দিতে হবে। তবে চলমান জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পরিষেবাটি পাঁচ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা হতে পারে।
তবে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এক বিবৃতিতে জান্তা জানিয়েছে, মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সময়মতো প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি, পদ্ধতি, ঘোষণা, বিজ্ঞপ্তি এবং নির্দেশাবলি প্রকাশ করবে।
রাখাইনে জান্তার সর্বশেষ ঘাটিও আরাকান আর্মির দখলে! রাখাইনে জান্তার সর্বশেষ ঘাটিও আরাকান আর্মির দখলে!
বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন অংশে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরই মধ্যে এ ঘোষণা দিল জান্তা।
মিয়ানমারে বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে নিয়োগের এই আইনটি ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা কার্যকর করা হয়নি। আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগ করা সেনাদের সময়সীমা পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। যারা এই সমন উপেক্ষা করবে, তাদের পাঁচ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময়ের অভ্যুত্থান রক্তপাতবিহীন হলেও সম্প্রতি জাতিগত প্রতিরোধযোদ্ধা ও জান্তাবিরোধীদের সঙ্গে একের পর এক সংঘাতে জড়িয়ে পরাজিত হচ্ছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে চলমান সহিংসতা দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।
"