প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলি বাহিনীর বীভৎস নির্যাতনের ছবি প্রকাশ

ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের পর নগ্ন অবস্থায় পাশবিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ও কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ইসরায়েলের পাশবিকতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

উপরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর বোমাবর্ষণ ও স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এসব হামলা ছাড়াও পশ্চিমতীর ও গাজা থেকেও গণহারে ফিলিস্তিনি পুরুষদের আটক করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে আটকের পরে অর্ধ নগ্ন করে নির্যাতনের এ চিত্র বিশ্ব সভ্যতাকে নাড়া দিয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দিদের কেবল অন্তর্বাস পরিয়ে, চোখে পট্টি বেঁধে একটি সামরিক যানে করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এসব লোকদের কবে বন্দি করা হয়েছে বা কেন বন্দি করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু বেশ কয়েকজন ব্যক্তির পরিবার ও সহকর্মীরা তাদের বন্দি হওয়ার দিন-তারিখও জানিয়েছেন। সিএনএন ওই সব ব্যক্তিদের অনেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছে যে, তাদের হামাস বা কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। ইউরো-মেডিটারিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে একটি ছবি পোস্ট করেছে। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের আটক করছে। যাদের মধ্যে ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক, বয়োবৃদ্ধসহ অনেকেই রয়েছে। সংগঠনটি তাদের ওই প্রতিবেদনে বলে আটকের ক্ষেত্রে ইসরায়েলি বাহিনী কোনো বাছবিচার করছে না। যাকে পাচ্ছে তাকেই আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।

সিএনএনের পক্ষ থেকে ওই ভিডিও সম্পর্কে জানতে বারবার অনুরোধ করা হলেও ইসরায়েলি বাহিনী বা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কেউই এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। তবে ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমগুলো সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে জানায় যেসব ছবি বা ভিডিও প্রকাশ হয়েছে তারা সবাই হামাসের সদস্য।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে, আল-আরাবি আল-জাদেদ নামক একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সেখানে তাদের এক প্রতিবেদক ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য রয়েছে। চিত্রগুলোয় চিত্রিত ঘটনার অংশ হিসেবে তাদের একজন সংবাদদাতা এবং তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

আল-আরাবি আল-জাদেদণ্ডএর প্রধান সম্পাদক হুসাম কানাফানি তার আরেক বিবৃতিতে বলেছেন, আটক ওই সংবাদদাতা এবং তার পরিবার এখনো নিখোঁজ। কানাফানি বলেন, আমাদের সহকর্মীর মুক্তিতে বিশ্বের সাংবাদিকদের অধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সহযোগিতা কামনা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close