প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
তীব্র তুষারপাতের কবলে ইউরোপ
তুষারপাত, বরফ আর হাড়-কাঁপানো বাতাসে বিপর্যস্ত ইউরোপের বিভিন্ন এলাকা। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়াসহ ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে দেখা দিয়েছে তীব্র তুষারপাত। শীতের শুরুতেই তীব্র তুষারপাতে বিপর্যস্ত জার্মানির জনজীবন। সপ্তাহব্যাপী এই বৈরী আবহাওয়ায় আচল হয়ে পড়েছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল। এক দিনে সর্বোচ্চ ১৬ ইঞ্চি তুষারপাত রেকর্ড করা হয়েছে। খবর সিএনএন ও ইউরো নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে বাভারিয়া রাজ্যে। পুরু বরফের আবরণে ঢাকা পড়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে অনেকটা স্থবির জনজীবন। তুষারপাতের কারণে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনা। এরই মধ্যে দুর্ঘটনায় দুজনের প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। দক্ষিণাঞ্চলে সব মিলিয়ে সাড়ে সাতশোর বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
জার্মানির সংশ্লিষ্ট এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেল। পুরু বরফের আস্তরণ পড়ে অঞ্চলটির বেশির ভাগ এলাকায় পুরোপুরি অচল ট্রেন চলাচল। এমন পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ক্রেন ও ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে বরফ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জার্মানির সব জায়গায় বরফের ওপর প্রবেশে সতর্কতা জারি করেছে ফায়ার সার্ভিস। জার্মানির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই হিমশীতল আবহাওয়া আরো কয়েক দিন স্থায়ী হবে। সোমবার ইংল্যান্ডের উত্তরে কাম্ব্রিয়ার আংশিক তুষারে ঢেকে যায়। অপ্রত্যাশিত তীব্র তুষারপাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো এলাকা, সড়কে দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। আইরিশ সাগরের হিমশীতল বাতাস কয়েক ঘণ্টায় ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষার বয়ে আনে।
স্থানীয়রা কয়েকজন জানান, হঠাৎ তুষারপাত শুরু হলো। প্রথমে মনে হয়েছিল, কী চমৎকার! কিন্তু সন্ধ্যায় আমরা আটকে পড়লাম। এখন এখানেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। রাতভর তুষার জমে বরফে রূপ নেওয়ায় স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্বের প্রায় ১২টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এক দিন আগেই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। যুক্তরাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলে মঙ্গলবার পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি থাকবে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।
"