প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস পালিত
গাজা থেকে পশ্চিমতীরের বিচ্ছেদ মানবে না জর্ডান
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড থেকে অধিকৃত পশ্চিমতীরের বিচ্ছিন্নতা বা পৃথকীকরণ প্রত্যাখ্যান করেছে জর্ডান। একই সঙ্গে এই দুটি অঞ্চলই ‘একক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্প্রসারণ’ বলেও জানিয়ে দিয়েছে দেশটি। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ মঙ্গলবার গাজা উপত্যকা থেকে পশ্চিমতীরকে আলাদা করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে তার দেশের প্রত্যাখ্যানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। কমিটি অন দি এক্সারসাইজ অব দি ইনঅ্যালাইনেবল রাইটস অব দ্য প্যালেস্টানিয়ান পিপল (সিইআইআরপিপি)-এর প্রধানের কাছে পাঠানো এক বার্তায় পশ্চিমতীর এবং গাজা উভয়ই ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সম্প্রসারণ’ বলেও নিশ্চিত করেছেন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
এই কমিটির কাছে পাঠানো বার্তায় তিনি আরো বলেন, সব ঐশ্বরিক ধর্মের মূল্যবোধের পাশাপাশি আমাদের সাধারণ মানবিক মূল্যবোধও বেসামরিক লোকদের হত্যা করাকে স্বীকৃতি দেয় না। তিনি উল্লেখ করেন, পশ্চিমতীর এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে লঙ্ঘন করেছে এবং এটি এই অঞ্চল ও বিশ্বে আরো সহিংসতা ও ধ্বংসের সূচনা করবে।
২৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস পালিত হচ্ছে। জর্ডানের বাদশাহ বলেন, (অন্য বছরের তুলনায়) ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে এই দিবসটি সামনে এসেছে এবং এই দিবসটি যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য করার জন্য সমগ্র বিশ্বকে আহ্বান জানাচ্ছে।
বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ‘গাজার কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করা বা এতে বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করা এবং পশ্চিমতীরকে গাজা থেকে আলাদা করার’ বিষয়টি জর্ডান প্রত্যাখ্যান করছে বলেও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আনাদোলু বলছে, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং বিশ্বব্যাপী তাদের সমর্থকরা গতকাল বুধবার ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে এই আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উদযাপন করেছে। ১৯৪৭ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে ‘আরব’ এবং ‘ইহুদি’ রাষ্ট্রে বিভক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। পরে ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর দিবসটি উদযাপনের আহ্বান জানায়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালে একই তারিখে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
"