প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
অসময়ের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাট ১৩ জেলায় বজ্রপাতে নিহত ২০
অসময়ের বৃষ্টিতে বেসামাল হয়ে পড়েছে ভারতের গুজরাট। গত রবিবার রাজ্যটিতে অমৌসুমি বৃষ্টিপাতের মধ্যে বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টির জেরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বজ্রপাতের কারণে গুজরাটের ১৩টি জেলায় ২০ জন মারা গেছে। তার মধ্যে সোমবারও গুজরাটের কিছু অংশে দুর্যোগ চলার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে দুর্যোগের মাত্রা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার পাশাপাশি পশ্চিম ঝঞ্ঝাও গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরিতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। এর প্রভাবেই গুজরাটে এই অমৌসুমি বৃষ্টি।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সোমবার থেকে গুজরাট ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে বৃষ্টিপাত কমবে। গত ১৬ ঘণ্টায় প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায় ৫০ থেকে ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (এসিইওসি) জানিয়েছে, রবিবার গুজরাটের ২৫২টি মহকুমার মধ্যে ২৩৪টিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরই মধ্যে সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, ভরুচ এবং আমরেলি জেলাতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গুজরাট প্রশাসন জানিয়েছে, মারা যাওয়ার মধ্যে দাহোড় জেলার তিনজন, ভারুচ জেলার তিনজন এবং তাপি জেলার দুজন। তা ছাড়া আমেদাবাদ, আমরেলি, খেড়া, মেহসানার মতো আরো কিছু জেলায় দুর্যোগে মারা গেছে বেশ কয়েকজন। প্রাথমিকভাবে ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, সুরাত, সুরেন্দ্রনগর, খেড়া, তাপি, আমরোলার মতো জেলায় ১৬ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ থেকে ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল গুজরাটের বেশ কিছু জেলার পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে সংলগ্ন রাজস্থানের কিছু অংশেও।
এই খবরে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, গুজরাটের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া এবং বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই ট্র্যাজেডিতে যারা তাদের প্রিয়জনকে
হারিয়েছে তাদের প্রতি অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণের জন্য কাজ করছেন।
"