প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ৩০ মার্চ, ২০২৩

উত্তেজনার মধ্যেই আমেরিকা সফরে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

চীনের সঙ্গে উত্তেজনা থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্য আমেরিকায় ১০ দিনের জন্য সফরে গেছেন স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি যাত্রাবিরতিতে অবস্থান করবেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ছাড়াও কংগ্রেসের অন্য নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা রয়েছে তার। তাইপের একাধিক সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার (২৯ মার্চ) তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে বের হয়েছেন। গুয়াতেমালা ও বেলিজেও সফর করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তাওয়ানের সরকারি নাম রিপাবলিক অব চায়না (আরওসি)। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দ্বীপটিকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন এবং শিগগিরই চীনের সঙ্গে একত্রীকরণ করা হবে বলে জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত হিসেবে দাবি করছে। এমন অবস্থায় চীনের হুমকি সত্ত্বেও তাইপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে অঞ্চলটিতে।

এ পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল আমেরিকায় রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। জানা গেছে, আগামী ৩০ মার্চ তিনি লাতিন আমেরিকায় যাওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতিতে অবস্থান করবেন। সে সময় নিউইয়র্কে ভাষণ দেবেন। এর আয়োজন করবে হাডসন ইনস্টিটিউট। সফরে এপ্রিলে এশিয়ায় ফেরার সময় ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তার।

তাইওয়ানের কোনো প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ডিসি বা যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে যাওয়ার নিয়ম নেই। এবারের সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে কি না বিষয়টি অস্পষ্ট। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ২০১৮ সালে তাইওয়ান ভ্রমণ আইন পাস হয়। ফলে তাইওয়ান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করাটা সহজ হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকায় তাইপে-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close