নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ জুন, ২০২৪

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার

নেপাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ কিনবে সরকার। যার প্রতি ইউনিট ব্যয় হবে ৮ টাকা ১৭ পয়সা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ জলবিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে পণ্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ভারতের গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসবে এ বিদ্যুৎ। এজন্য দিতে হবে ট্রেডিং মার্জিন ও ট্রান্সমিশন খরচ।

জানা গেছে, বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী নেপালের ত্রিশুলি প্রকল্প থেকে ২৪ মেগাওয়াট এবং অন্য একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে।

নেপালের এ বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসে ‘বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন ও আমদানি’ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওই কমিটির প্রধান ছিলেন। বৈঠকে আ হ ম মুস্তফা কামাল নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ট্যারিফ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, নেপাল থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম দেশে কয়লাভিত্তিক উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের তুলনায় কম পড়বে।

ওই বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে, নেপাল শীতকালে বাংলাদেশ কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিতে আগ্রহী। শীতে নেপালে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে, অন্যদিকে বাংলাদেশে চাহিদা কম থাকে। নেপালের জলবিদ্যুৎ ভারতীয় সঞ্চালন লাইন হয়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপকেন্দ্র দিয়ে আমদানি করবে সরকার। এ বিষয়ে চুক্তি হয় নেপালের জাতীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে। নেপাল থেকে ৫ বছরে বিদ্যুৎ আমদানিতে ব্যয় হবে ৬৫০ কোটি টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহারের জন্য ইউনিট প্রতি দশমিক ০৫৯ রুপি ট্রেডিং মার্জিন এবং ট্রান্সমিশন খরচ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরের সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি। সচিব আরো বলেন, ‘বিদ্যুৎ নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসবে। এক্ষেত্রে ভারতের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করতে হবে। ফলে তিনপক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এটার দাম পড়বে ৮ টাকা ১৭ পয়সা।’

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাইরে থেকে এ দামে বিদ্যুৎ কেনা মোটেও লাভজনক নয়। সরকারকে আরো সাশ্রয়ী উৎস খোঁজার তাগিদ তাদের।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, ‘আমরা তাদের বিদ্যুৎ কিনেছি এবং নেপালের বিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রেও ব্যবসায়িক সুবিধাটা যে ব্যবসা হবে আমদানি করতে গিয়ে, সেখানে ভারতে বেনিফিট দিতে গিয়ে যদি এভাবে দাম বাড়ে, সেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং ন্যায্য ও যৌক্তিক হবে না সেটা।’ এছাড়া টিসিবির জন্য প্রায় ৫৩৭ কোটি টাকার সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৩৩২ কোটি টাকার সয়াবিন তেল এবং ২০৫ কোটি টাকার মসুর ডাল কেনা হবে। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেওয়া হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close