নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ জুন, ২০২৪

কোরবানির পশুর হাট

চারদিকে উঠেছে জমে, ঢাকায় অপেক্ষা

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। এসব হাটে হাজির হচ্ছেন ঢাকার ব্যাপারীরা। তবে হাটে স্থানীয় ক্রেতারা বেশি ভিড় করছেন। তাদের অভিযোগ, এবার পশুর দাম গতবারের তুলনায় বেশি।

অন্যদিকে রাজধানীবাসীর কোরবানির পশু রাখার জায়গা সংকট থাকায় বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ১৮টি পশুর হাট বসবে বলে জানা গেছে। পশু বেচাকেনা ঈদের ৫ দিনের আগে শুরু হয়ে চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে হাট জমজমাট হওয়ার।

এদিকে রাজধানীর পশুর হাটগুলোয় কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। তবে ব্যাপারীদের দাবি, মাত্র ২০ শতাংশ কোরবানির পশু হাটে এসেছে। সামনের দুই-তিন দিনে আরো ৫০ শতাংশ গরু হটে আসবে। আর হাটে আসা কোরবানির পশুর মধ্যে ৯০ শতাংশই হচ্ছে দেশি গরু। আর সামনের বাকি দুই দিনে যা পশু আসবে তার মধ্যে দেশি গরুর সংখ্যাই বেশি থাকবে। রাজধানীর তেজগাঁও কলোনিবাজার পশুর হাটের ইজারাদার হাসান আলী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, হাটে গরু আসতে শুরু করেছে। ঢাকায় যেহেতু গরু রাখার জায়গার অভাব তাই মানুষ ঈদের দুয়েক দিন আগে গরু কেনে। বাজার জমে উঠবে ঈদের তিন দিন আগ থেকে। এখন কিছু ক্রেতা হাটে আসে দাম জানার। তবে রমরমা শুরু হয়নি।

গরু বিক্রেতারা বলেছেন, গত তিন বছর ধরে গরুগুলো অনেক টাকা খরচ করে পালন করেছি। এখন আশা হচ্ছে একটু ভালো দামে বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করব। চিন্তায় আছি হাটে আবার ভারতীয় গরু আসে কিনা। ভারতীয় গরু এবারও যদি হাটে চলে আসে তাহলে আমাদের অনেক লোকসান হবে।

রাজশাহী অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাটের বিক্রেতা আবদুর রাজ্জাক জানান, এবার হাটে প্রচুর দেশি গরু নিয়ে এসেছেন। প্রতি হাটে ২০ থেকে ২৫ গরু নিয়ে আসেন তিনি। এরমধ্যে বেশিরভাগই বিক্রি করে দেন। দামের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু এর মধ্যে যদি বর্ডার দিয়ে ভারতীয় গরু নামে এবং হাটে আসে তাহলে দেশি গরুর ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

নওগাঁর চৌবাড়িয়া হাটের গরু বিক্রেতা নাসিম বলেছেন, বাজারে যে পরিমাণ দেশি গরু আছে এবং আরো যা আসবে তা দিয়ে কোরবানির চাহিদা মিটবে। খুব বেশি দামও হবে না। কিন্তু হাটে যদি ভারতীয় গরু চলে আসে তাহলে আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হব। আমাদের এখানের গরু কিনে ঢাকা বিক্রি করে বড় বড় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় এসব হাটে হাজার হাজার পশুর আমদানি হয় আবার বিক্রিও হচ্ছে।

ভারতীয় গরুর ব্যাপারীরা জানান, দেশীয় গরুর ব্যবসায়ীরা গরুর দাম চড়া করার জন্য এখন এসব কথা তুলছেন। তারা নিজেরাও জানেন আমদানি করা পশু না আসলে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো যাবে না। আর চাহিদা মেটানো না গেলে সংকটের কথা বলে দেশি গরুর ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার চিন্তায় আছেন।

সিরাজগঞ্জের ভারতীয় গরুর ব্যাপারী আজমল শেখ বলেন, হাটে যে গরু আসছে তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। এখন যদি আমদানি করা গরু না আসে তাহলে সংকট তৈরি হবে। ফলে হাটে কোরবানির পশুর দাম বেশি থাকতে পারে।

কোরবানির পশু দেখতে আসা মাসুদুর রহমান বলেন, হাটে এখন বড় সাইজের গরু বেশি দেখছি। মাঝারি বা ছোট সাইজের গরু কম। আজ দেখতে এসেছি বাজেটে মিললে কিনব না হলে আরেকদিন আসতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close