নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ জুন, ২০২৪

উদ্ভাবন

কমবে ভারতীয় বীজ আমদানিনির্ভরতা

‘তোষা পাট-৯’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত সবুজ সোনাখ্যাত ‘তোষা পাট-৯’ বাংলাদেশে ভারতীয় পাটের জাত জেআরও-৫২৪-এর উৎপাদন এবং পাটবীজের চাহিদা কমাবে। ফলে ভারতীয় বীজ আমদানিতে বাংলাদেশের যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, তা অনেকাংশে কমে আসবে।

গতকাল সোমবার বিজেআরআই প্রধান কার্যালয়ে কৃষি গবেষণা উইং কর্তৃক ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১টি জাত ‘বিজেআরআই তোষা পাট-৯ (সবুজ সোনা)’ এবং ৩টি প্রযুক্তি ‘রসুনের নির্যাস দিয়ে পাটের হলুদ মাকড় দমন; প্রচলিত পাট পচন পদ্ধতির উন্নয়ন ও দেশি পাটের (Corchorus capsularis L.) ইন ভিট্রো প্লান্ট রিজেনারেশন প্রটোকল’ হস্তান্তরবিষয়ক একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআইর মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল। বিজেআরআইয়ের উদ্ভাবিত এ নতুন জাতকে (বিজেআরআই তোষা পাট-৯/সবুজ সোনা) মাঠে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বিএডিসি এবং ডিএইকে এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‘উৎপাদনকে ঠিক রেখে স্বল্পসময়ের নতুন জাত উদ্ভাবনের ব্যাপারে বিজেআরআইয়ের বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। জমির স্বল্পতাকে মাথায় রেখে কীভাবে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, সে লক্ষ্যেও কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পাটের চাহিদা কোনোদিন শেষ হবে না, এজন্য বিজেআরআইকে মুখ্য ভূমিকা পালন করে পাটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

বিজেআরআইর মহাপরিচালক আউয়াল বলেন, ‘বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত নতুন এ জাতটি অন্য জাতগুলোর চেয়ে স্বল্পসময়ে ভালো ফলন দেয়। এ জাতের মাধ্যমে আমরা পাটবীজের আমদানিনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব বলে আশা করছি। পরীক্ষামূলকভাবে ভালো ফলন দেওয়ায় এরই মধ্যে এর চাহিদা কৃষকের মাঝে বেড়েছে। আমাদের দেশে বোরো ধান কাটার পর এ জাতটি বপন করলে একই জমিতে ৩-৪ ফসলের শস্যবিন্যাস আনা সম্ভব।’ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, কেজিএফের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ড. মনোয়ার করিম খান, কেজিএফের পরিচালক (শস্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ) ড. মো. আক্কাস আলী এবং বিএআরসির সদস্য পরিচালক (শস্য বিভাগ) ড. মো. আবদুছ ছালাম।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআইয়ের পরিচালক (কারিগরি) মো. মোসলেম উদ্দিন, পরিচালক (জুট-টেক্সটাইল) ড. ফেরদৌস আরা দিলরুবা, পরিচালক (কৃষি) ড. নার্গীস আক্তার, পরিচালক (পিটিসি) ড. মাহমুদ আল হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. এস এম মাহবুব আলীসহ বিজেআরআইয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো মাঠপর্যায়ে হস্তান্তরের লক্ষ্যে বিজেআরআই এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কৃষক প্রতিনিধিসহ ১২০ অংশগ্রহণকারীর সমন্বয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close