নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ জুন, ২০২৪

তথ্যপ্রাপ্তি সুযোগ নয় অধিকার

- প্রধান তথ্য কমিশনার

প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক বলেছেন, ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার তথ্য প্রাপ্তিকে জনগণের সুযোগ নয় অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দিয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পুরণকল্পে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অত্যাবশ্যক।

গতকাল রবিবার তথ্য কমিশন বাংলাদেশে দিনব্যাপী ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ বিষয়ে প্রশিক্ষণে এসব কথা বলেন তিনি। প্রশিক্ষণে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ঢাকা জেলার ৬০ জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশন সচিব জুবাইদা নাসরীন। রাজধানীতে তথ্য কমিশন ভবনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার তথ্য প্রাপ্তিকে জনগণের সুযোগ নয় অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণকল্পে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অত্যাবশ্যক। প্রকাশযোগ্য তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত হালনাগাদ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় কোনো কর্তৃপক্ষই ভবিষ্যতে ছাড় পাবেন না। এ ছাড়া নোটিস বোর্ড, বিল বোর্ড ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ এ উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে তথ্যকে অবারিত করা ছাড়া বিকল্প নেই। ‘চাইলে তথ্য জনগণ-দিতে বাধ্য প্রশাসন’ এই মন্ত্রকে ভুলে যাওয়ার অবকাশ নেই।

ডক্টর আবদুল মালেক আরো বলেন, সারা দেশে তথ্য অধিকার আইনে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট ২০২৩ পর্যন্ত দাখিল করা আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৫। বিশ্বে ১৪০টি দেশে তথ্য অধিকার আইন রয়েছে। জনগণের তথ্য প্রাপ্তি, অভিযোগ নিষ্পত্তি, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ, ওয়েবসাইট হালনাগাদ প্রভৃতি বিষয় বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ২৭তম অবস্থানে। পরিসংখ্যান মতে ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত কমিশনে প্রায় ৩০ শতাংশ অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকরা। বিশুদ্ধ তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন তৈরিতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম তথ্য প্রাপ্তির আপিল ও অভিযোগ দায়ের, তথ্য না দিলে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানসহ, কোন কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে অবহিত করেন।

প্রশিক্ষণে তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য সংরক্ষণ, নথি বিনষ্টকরণ, তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। এ ছাড়া ঢাকা জার্নালের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর এতে বিশেষ রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close