নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ জুন, ২০২৪

ফুটপাতের ছয় খাবারে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি

চটপটি, ছোলা-মুড়িসহ ফুটপাতের ৬ ধরনের খাবারের উচ্চমাত্রার ডায়রিয়া জীবাণু পাওয়া গেছে বলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গতকাল রবিবার পথ-খাবারে মাইক্রোবিয়াল বিপদ এবং রেস্টুরেন্টে রেডি টু ইট সালাদ আইটেম ও এসবের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ শীর্ষক গবেষণাপত্র উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ সায়েন্সের প্রধান বিজ্ঞানী মো. লুতফুল কবীর জানান, রাজধানীর রাস্তায় বিক্রি হওয়া ছোলামুড়ি, চটপটি, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরা জুস, মিক্সড সালাদে মাত্রাতিরিক্ত ই-কোলাই, ভিবরিও এসপিপি ও সালমেনেলার মতো মারাত্মক সব ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব ব্যাকটেরিয়া মানুষের পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে বড় রকমের ডায়রিয়া ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

লুতফুল কবীর বলেন, রাস্তায় ৬ ধরনের খাবারের ৪৫০টি স্যাম্পলের ওপর ভিত্তি করে এ গবেষণা করা হয়েছে। যারা রাস্তার পাশে খাবার বিক্রি করেন তাদের পানি দূষিত, হাত অপরিষ্কার, গামছা নোংরা এবং আশপাশের পরিবেশ ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ। এমন অবস্থায় খুব সহজেই এসব জীবাণু খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তাদের আক্রান্ত করছে। এসব জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে করণীয় জানিয়ে এ বিজ্ঞানী বলেন, বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসম্পর্কিত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যারা রাস্তার পাশে যত্রতত্র খাবার বিক্রি করেন তাদের খাবার বিক্রির কোনো সনদপত্র নেই। এদের লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। স্ট্রিট ফুড অর্থাৎ রাস্তার খাবার বিক্রেতাদের আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা গেলে তাদেরও এক ধরনের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, প্রতি জেলায় কী পরিমাণ ফুড লাইসেন্স আছে এবং এই লাইসেন্সের আওতার বাইরে কারা খাবার বিক্রি করছেন, সেটি যাচাইয়ের আওতায় আনতে হবে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি লাইসেন্সের আওতায় একাধিক খাদ্যদ্রব্য বিক্রি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এগুলোর নজরদারি বাড়াতে হবে। জরিমানা থেকে শুরু করে যারা ভেজাল ও দূষিত খাবার বিক্রি করে, তাদের আইনের আওতায় আনার ওপর জোর দেন সফিকুজ্জামান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close