নিজস্ব প্রতিবেদক
উদ্ভাবন
প্রবাসী আয় ১০ গুণ বাড়ানো সম্ভব
দক্ষদের ‘সার্টিফিকেশন’ এবং অদক্ষদের গণপ্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১০ গুণ রেমিট্যান্স আহরণের রূপরেখা উদ্ভাবন করেছেন প্রকৌশলী ডি এম মজিবর রহমান। তার মতে, দেশের সব খাত মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি দক্ষ লোকবল আছে এবং ৩ কোটি বেকারও আছে। বেকারদের সংযুক্তিকরণ প্রশিক্ষণ এবং দক্ষদের সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য কৌশল উদ্ভাবন করে এই প্রকৌশলী নাম দিয়েছেন ‘গণপ্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন’ পদ্ধতি।
তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে নতুন কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রয়োজন হবে না; নিয়োগ দিতে হবে না নতুন প্রশিক্ষক; কোনো প্রশিক্ষণ উপকরণও প্রয়োজন হবে না। হাতে হাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এর জন্য শুধু দরকার হবে সরকারপ্রধানের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত।
ন্যাশনাল প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেইনিং প্রোগ্রাম লিমিটেড ও বাংলাদেশ সোলার মিনিগ্রিড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডি এম মজিবর রহমান ১৯৮০ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে দীর্ঘ ২৭ বছর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৭ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। বিদ্যুৎ বিষয়ে কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি দেশে নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়নে সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ লিমিটেড (এসইবিএল) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালে উদ্যোক্তা হিসেবে ভোলা জেলার মনপুরা দ্বীপ উপজেলায় ‘মনপুরা সোলার মিনিগ্রিড স্থাপন করেন, যা ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড মডেল’ হিসেবে ঘোষিত হয়। তিনি আইডিইবির স্টাডি ও রিসার্চ সেলের ফেলো হিসেবে দেশের অতি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা করছেন। তার উদ্ভাবিত পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে পাঁচ বছরে প্রায় ৩ কোটি বেকার মানুষকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনা যাবে বলে তিনি মনে করেন। প্রতিদিনের সংবাদকে তিনি বলেছেন, প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বর্তমানের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করা সম্ভব হবে।
তিনি জানান, দেশে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ব্যক্তি মালিকানাধীন ৯৩ খাতে প্রায় লক্ষাধিক প্রশিক্ষণযোগ্য প্রতিষ্ঠান আছে এবং সেসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭ কোটি দক্ষ লোক কর্মরত আছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের দক্ষ কর্মীরাই হবেন প্রশিক্ষক, প্রতিষ্ঠান হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং কাজের যন্ত্রপাতি ও মালামালই হবে প্রশিক্ষণ উপকরণ। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীরা ৩৪টি ট্রেডে ৯৫টি কারিগরি পদে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। প্রতিটি ট্রেডেই কর্মরত দক্ষ জনবলের সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবে মাত্র ৩ থেকে ৬ মাস হাতে হাতে নিবিড় কাজের মাধ্যমে বাস্তব প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা; অর্জন করবেন দক্ষতা ও সক্ষমতা। তার মতে, দেশে এবং বিশ্ববাজারে চাহিদা আছে- এমন ট্রেড/পদে প্রশিক্ষণ নেবেন প্রশিক্ষণার্থীরা। যেমন- কৃষি, মৎস্য, হাঁস-মুরগির খামার, পশুপালন, দুগ্ধ খামার, কলকারখানা, সরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন- পিডিবি, আরইবি, পিডব্লিউডি, এলজিইডি ইত্যাদি এবং বিবিধ কন্সট্রাকশন/ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানে সব ট্রেডভিত্তিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবে ।
বর্তমান বাস্তবতায় দক্ষতার সার্টিফিকেট না থাকায় প্রবাসে বাংলাদেশি কর্মীরা এক চতুর্থাংশ বেতন পান এবং বহুলাংশে অমর্যাদাকর কাজ পান। এছাড়া আমাদের জনশক্তি রপ্তানি পদ্ধতি বহুলাংশে দুর্নীতিগ্রস্ত ও হয়রানিমূলক। এ কারণেই অদক্ষ কর্মীরা অবৈধভাবে চোরাই পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পাড়ি দিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন। আবার অনেক শ্রমিক স্বাভাবিকভাবে বিদেশ গিয়েও জেলখানায় আটকা থাকছেন। বাকিরা খুবই নিম্ন বেতন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি মনে করেন, বিদেশে দক্ষ শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা আছে। শুধু প্রয়োজন আন্তর্জাতিক মানের একটি দক্ষতার সার্টিফিকেট। সার্টিফিকেট প্রদানে আন্তর্জাতিক মানদ- অনুসরণ করতে হবে, যাতে পৃথিবীর যেকোনো দেশ এ সার্টিফিকেট মূল্যায়ন করে।
প্রস্তাবিত প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন সচিবের নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনবল কাঠামোর প্রয়োজন হবে। এ জনবলের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতি বিভাগে একজন যুগ্ম-সচিব/অতিরিক্ত সচিব থাকবেন। দেশকে ১৪০টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলকে জেলা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। বর্তমান জেলা প্রশাসকের মতো একজন জেলা প্রশাসকের (ট্রেইনিং) নেতৃত্বে জনবল কাঠামো গঠন করতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় একজন ইউএনওর (ট্রেইনিং) নেতৃত্বে জনবল কাঠামো গঠিত হবে। ডিসি (ট্রেইনিং) হবে আইএলও অনুমোদিত, যিনি প্রদত্ত সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করবেন, যা বিশ্বের প্রত্যেক দেশে মূল্যায়িত হবে।
তিনি বলেন, কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবার কম-বেশি মানবিক দায়িত্ব নিতে হবে। যার যার দায়িত্বের পর্যায় নির্ধারণ করা থাকবে। এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য সব ব্যবসায়ী সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, যেমন- এফবিসিসিআই, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স, সব কেন্দ্রীয় ব্যবসায়িক ও পেশাজীবী সংগঠন, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি), ডিপ্লোমা কৃষিবিদ অ্যাসোসিয়েশন ও নির্মাণশ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন। সব সরকারি-বেসরকারি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতারা, প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রধানের সর্বজনীন অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রত্যেকেই যার যার দায়িত্বের মধ্যে সেবার দৃষ্টিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন।
মজিবর রহমান জানান, ডিসি (ট্রেইনিং), জেলাভিত্তিক সব সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চেম্বার কর্মকর্তা, বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ও জেলার সব স্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় সভার মাধ্যমে সরকারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সবার সহযোগিতা চাইবেন। সরকারি ও বেসরকারি কমিটি কর্তৃক জরিপ তালিকা অনুযায়ী, ডিসি (ট্রেইনিং) সংশ্লিষ্ট পদে প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন আহ্বান করবেন। আবেদন ফরম অনুযায়ী প্রশিক্ষণের জন্য একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ১০টি পদে প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে। যাতে নির্ধারিত পদে স্থান না পেলে অবশিষ্ট ৯টি পদের যেকোনো একটিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার সুযোগ থাকে। কৃষি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও দুগ্ধ খামারে ১৫ থেকে ২০ জনের গ্রুপে ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা নিজের কাজের সঙ্গে গ্রুপভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেবেন।
প্রকল্পের প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন সম্পর্কে তিনি জানান, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের মনোনীত কর্মকর্তা, জেলা চেম্বারের কর্মকর্তা, জেলা আইইবি ও আইডিইবির কর্মকর্তা, জেলা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদ অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা নির্মাণশ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ইত্যাদির সমন্বয়ে প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত হবে। এই কমিটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তদারকি ও বাস্তবায়নে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রয়োজনে ন্যাশনাল প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেইনিং গ্রোগ্রাম লিমিটেড বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সরাসরি ট্রেইনিং প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কনসাল্টেন্সি প্রদানের মাধ্যমে সেখানে দৈনিক হাজিরা, প্রশিক্ষণের টুলস ইকুইপমেন্ট এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।
জেলাভিত্তিক ডিসি (ট্রেইনিং) নিয়োগপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশে ১৪০ জেলায় একই দিনে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করবেন যে, জেলার আওতাধীন ১৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের সব দক্ষ কর্মী উল্লিখিত ট্রেডগুলোর মধ্যে যে যে-পদে দক্ষ, তা উল্লেখপূর্বক নির্ধারিত ফরমে সার্টিফিকেটপ্রাপ্তির লক্ষ্যে ডিসি (ট্রেইনিং) বরাবর আবেদন করবেন। আবেদন যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে নিজ নিজ জেলায় ৩ মাসের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে পূর্ব থেকেই একই ডিজাইনের প্রায় ৭ কোটি সার্টিফিকেট প্রস্তুত রাখতে হবে।
সার্টিফিকেট প্রদান কর্মসূচি শেষ করার পরেই দেশের ৩ কোটি বেকার এবং হতাশাগ্রস্ত ও মাদকাসক্তদের সংযুক্তিকরণ প্রশিক্ষণের নিমিত্তে ট্রেড/পদভিত্তিক সব জেলায় একই দিনে ট্রেনিং গ্রহণের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রদান করবেন। প্রশিক্ষণার্থীরা নির্ধারিত ফরমে পছন্দনীয় পদে ডিসি (ট্রেনিং) বরাবর আবেদন করবেন। জেলার সার্টিফিকেটধারী পদভিত্তিক দক্ষ কর্মীদের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পদে আবেদনকারীদের সাহায্যকারী/জোগালি হিসেবে ৩-৬ মাসের জন্য কাজে সংযুক্ত করবেন। প্রতি ১৫ দিন পরপর প্রশিক্ষণার্থীরা জেলাভিত্তিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন। কর্মশালায় জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী/উপবিভাগীয় প্রকৌশলী/চিকিৎসক/উকিল/মানবসম্পদ কর্মকর্তা এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রশিক্ষণার্থীদের দেশি এবং বিদেশি আইনকানুন, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, চিকিৎসা এবং সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষতা ও সচেতনতা বিষয়ে ধারণা দেবেন।
তিনি মনে করেন, এই কর্মসূচির সরকারি নীতিমালা থাকবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্যবাধকতা থাকবে। সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ বিদেশে যেতে পারবেন না, এই মর্মে সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাজের জন্য টুলস ক্রয় বাবদ ব্যাংক লোন ও বিশেষ সুবিধা নীতিমালা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে দক্ষতার সঙ্গে কর্মরত বিদ্যমান জনবলকে ট্রেড ও পদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুপারিশের মাধ্যমে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জনকারী সবাইকেই সার্টিফিকেশনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ট্রেইনিং প্রোগ্রাম উদ্বোধন এবং সার্টিফিকেট বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সচিবদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি উদ্যোগে কূটনৈতিক মিশনের লেবার শাখায় অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করতে হবে। ট্রেড ও পদভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানির জন্য তারা কাজ করবেন। প্রতিটি দেশে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ই-মেইলের মাধ্যমে অবগত করতে হবে। তাদের জানাতে হবে- বাংলাদেশে এই ধরনের দক্ষ জনশক্তি মজুদ আছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে দক্ষ লোকের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে। দূতাবাস কর্তৃক চাহিদাপত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ট্রেনিং সেলে প্রেরণ করতে হবে। ট্রেনিং সেল জেলা কোটা অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় প্রেরণ করবেন। ডিসি (ট্রেনিং) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সার্টিফিকেটধারী কর্মীদের বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করবেন এবং প্রতি জেলার কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করবেন। ঋণ পরিশোধ এবং রেমিট্যান্স পাঠানোর লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংকে হিসাব খুলে জিপিএস কো-অর্ডিনেট স্থাপন করবেন।
এই প্রকৌশলী বলেন, এসব পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক সার্টিফিকেটধারী দক্ষ জনশক্তিদের নিরাপদ, সহজ ও দুর্নীতিমুক্ত বিদেশ গমন নিশ্চিত হবে; অর্জিত হবে ১০ গুণ রেমিট্যান্স।
"