চলতি বছর যেসব এজেন্সি হজযাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতি ও ভোগান্তিতে ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। হজপালনে সৌদি আরবে যাওয়ার আগে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন তিনি।

অব্যবস্থাপনার অভিযোগে বিভিন্ন সময় কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল করার পরও এখনো যেসব এজেন্সি ভোগান্তির কারণ হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘এবার হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা কিন্তু কোনো ভোগান্তি পাইনি। যখন ভোগান্তির কথা বলা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন হয়ে গেছে।’

তবে, হজ ব্যবস্থাপনায় যেসব এজেন্সি ও ব্যাংক হজযাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার অপরাধ যতটুকু, তার ততটুকু শাস্তি হবে, বলেন মন্ত্রী। এ বছর উড়োজাহাজ ভাড়ার অর্থছাড় নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন ৬৮২ জন হজযাত্রী।

কবে নাগাদ ট্রাভেল এজেন্সি ও ব্যাংকের ভোগান্তি থেকে মুক্ত হয়ে হজযাত্রীরা নির্বিঘ্নে হজ পালনে যেতে পারবেন, জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘এবার হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের মাধ্যমে হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সঠিক ছিল। গত বছর দুই জায়গায় সমস্যা হয়েছিল, আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তা সমাধান করেছিলাম। এবার দুটি ব্যাংক ছিল। শেষের দিকে এসে একটি ব্যাংকে প্রবলেম (সমস্যা) হওয়া সত্যেও আমরা এক দিনের মধ্যে তা সমাধান করেছি।’

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শুক্রবার রাতের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ১৭৯টি ফ্লাইটের মাধ্যমে ৬৯ হাজার ৯৫৪ হজযাত্রী সৌদি আরব জেদ্দা পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৫০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৫ হাজার ৪০৪ জন হজযাত্রী সেখানে গেছেন।

"