প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অভূতপূর্ব সমর্থন দিয়েছিল। সহমর্মিতা জানিয়েছিল। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার কিছুটা বৈসাদৃশ্য থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। সেই জন্য নেপালের বিচারকরা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঢাকায় এসেছেন।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, নেপাল ও ভুটানের বিচারপতিরা গতকাল বঙ্গবন্ধু জাদুঘর দেখেছেন। এছাড়া তাদের বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসার আগ্রহ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মানবোধ প্রদর্শন সত্যিই আমাদের অভিভূত করেছে। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ এ দেশ দুটিকে সঙ্গে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। এর আগে নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা ও ভুটান হাইকোর্টের বিচারপতি লবজং রিনজিন এয়ারগিকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা।

এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আমিনুর রহমানসহ গোপালগঞ্জের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

"