বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে রয়েছে সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা। তারা সমাজের অগ্রসর অংশ। রাষ্ট্র ও সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন। এমন অনেক বিষয় আছে যেগুলো রাষ্ট্র দেখে না। রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারাও দেখে না। এমন অনেক তথ্য ও ঘটনা সাংবাদিকরা উন্মোচিত করে। যা সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষের উপকারে আসে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২ বছর পূর্তি উৎসব এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাজেট যদি গরিবের উপকারে না আসত, তাহলে দারিদ্রতা ও অতিদারিদ্রতা কমত না। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক।

সভাপতির বক্তব্যে সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্বার্থে এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

স্বাগত বক্তব্যে দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজন সবার মধ্যে আরো বিশাল উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। যা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করবে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থান। তাদের সম্মাননা জানাতে পেরে আজকের উদ্যোগ স্বার্থক মনে করছি। সম্মাননাপ্রাপ্ত সভাপতিরা হলেন- মতিউর রহমান (সিএসপি), কাজী জালালউদ্দিন আহমদ (সিএসপি), এম নুরুল ইসলাম, বি এ আজাদ ইসলামাবাদী, এম এ মালেক, আবদুল্লাহ আল ছগীর, আতাউল হাকিম, এম ওবায়দুল হক, মুহাম্মদ ইদ্রিস, আবু সুফিয়ান, আখতার উন নবী, আলহাজ আলী আব্বাস, কলিম সরওয়ার। সম্মাননাপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- এম আই করিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, সৈয়দ শফিকউদ্দিন আহমদ, বি এ আজাদ ইসলামাবাদী, নূর সাঈদ চৌধুরী, ওসমান গণি মনসুর, নিজাম উদ্দিন আহমদ, আবু সুফিয়ান, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ফারুক ইকবাল, কলিম সরওয়ার, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, মহসিন চৌধুরী, শুকলাল দাশ, ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।

সম্মাননাপ্রাপ্তদের উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাদের মধ্যে অভিমত ব্যক্ত করেন সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও কলিম সরওয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, এজাজ ইউসুফী, রাশেদ রউফ, শুকলাল দাশ ও চৌধুরী ফরিদ। বক্তব্য দেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহিদ উল আলম ও দৈনিক নয়াবাংলা সম্পাদক জেড এম এনায়েতউল্লাহ।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (অর্থ) শহিদুল আলম, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, লায়ন আলহাজ রফিক আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নজরুল ইসলাম, হাজী সাহাব উদ্দিন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এরপর শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার রাতে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা ও সম্মাননা প্রদানসহ অনুষ্ঠানমালা শুরু করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার।

"