মিজান রহমান

  ০৮ জুন, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’

হাসি ফুটবে ১৮ হাজার গৃহহীনের মুখে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে হাসি ফুটবে আরো সাড়ে ১৮ হাজার গৃহহীনের মুখে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী সোমবার পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আরো সাড়ে ১৮ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হচ্ছে। ওই দিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একাধিক সূত্র প্রতিদিনের সংবাদকে নিশ্চিত করেছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নেন দেশে একটি মানুষও গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। সেই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে সাড়ে ১৮ হাজার ঘর হস্তান্তর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন হাজার হাজার পরিবারকে ঘর করে দিয়েছেন। তার এই উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এতে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ৫ লাখের ওপরে ঘর প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে এত বিপুলসংখ্যক পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান বিরল ঘটনা বলেও মনে করা হচ্ছে। এটাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন শেখ হাসিনার রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধায় ৬৩০, কুড়িগ্রামে ৩২১, রংপুরে ১০৪৯, দিনাজপুরে ৯০৯, লালমনিরহাটে ১২৮২টি, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁয় ৫৫, সিরাজগঞ্জে ১৮৪, জয়পুরহাটে ২০, রাজশাহীতে ১৩০, বগুড়ায় ১৮৬, নাটোর ৮৭২টি, খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহে ৬০৩, চুয়াডাঙ্গায় ১০, সাতক্ষীরায় ২৫০, যশোরে ৩৬২, মেহেরপুরে ২২৯, খুলনায় ৮৪, নড়াইলে ২১৩, বাগেরহাটে ৮১২টি, ঢাকা বিভাগের ঢাকায় ৫১৯, গোপালগঞ্জে ৭৩৬, মাদারীপুরে ৩২০, শরীয়তপুরে ২৪৩, কিশোরগঞ্জে ৩৩০, গাজীপুরে ২৬, টাঙ্গাইলে ১০৩, মুন্সীগঞ্জে ৯, ফরিদপুরে ৬৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনায় ১৭৭, ময়মনসিংহে ৩২৯, জামালপুরে ৫, সিলেট বিভাগের সিলেটে ১৮৩, হবিগঞ্জে ৮১, সুনামগঞ্জে ৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সাবাজারে ২৬১, চট্টগ্রামে ২৫০, রাঙামাটিতে ৬৮০, বান্দরবানে ৩৮২, খাগড়াছড়িতে ৮৬০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০, লক্ষ্মীপুরে ১০৬, নোয়াখালীতে ৯০০, কুমিল্লায় ১৮৬, ফেনীতে ২৪০, বরিশাল বিভাগের ভোলায় ২২১৭, ঝালকাঠিতে ৮৫, বরগুনায় ৩৫৩, পটুয়াখালীতে ৩০, বরিশালে ৪৬২টি ঘর বিতরণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করার উত্তম চর্চা হিসেবে সমাদৃত হয়েছে উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল’। এরই ধারাবাহিকতায়, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় আনছেন। সমাজের অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর প্রদান করা হচ্ছে। জমিসহ ঘরের মালিকানা পেয়ে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়োজিত করেছেন। ফলে এসব পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নততর হচ্ছে। উন্নয়নের মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্ত করা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে আশ্রয়ণের বাড়ি ও জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে দেওয়া হচ্ছে। পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের উৎপাদনমুখী নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সঞ্চয়ী হতেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুপেয় পানির সুব্যবস্থার মাধ্যমে উপকারভাগীদের জন্য আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ১০ জুন সারা দেশে নতুন করে ১৮ হাজার ৫৬৬টি ঘর প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, আগামী ১০ জুন ফরিদপুর জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে। ওই দিন জেলায় ৬৯টি ঘর প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close