নিজস্ব প্রতিবেদক
নেপালে পরিবেশমন্ত্রী
পাহাড় না থাকলে বিশ্বে পানির সংকট দেখা দেবে
![](/assets/news_photos/2024/05/23/image-458327.jpg)
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় হিমালয় পর্বতসহ সব পাহাড়-পর্বত অক্ষত রাখতে বিশ্বনেতাদের একত্রে শামিল হয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে দেশে দেশে সুপেয় পানি সংকট তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর চন্দ্রগিরি হিল রিসোর্টে ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট ডায়ালগ অন মাউন্টেইন, পিপল অ্যান্ড ক্লাইমেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পানির উৎস প্রবাহিত হয় পাহাড়ের ঝর্ণাধারা থেকে। পাহাড়কে ক্ষত-বিক্ষত করা হলে পরিবেশের যেমন ভারসাম্য হারাবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ। তাই সুপেয় পানি না থাকলে বাংলাদেশের মানুষ বাঁচবে না। এ কারণে পাহাড় রক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, হিন্দুকুশ হিমালয় পর্বতমালা জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। যদি বুঝতে চান, পৃথিবীতে কী ঘটতে চলেছে, দেখতে হবে আজ হিমালয়ে কী ঘটছে। এটি শুধু পাহাড় নয়, সুপেয় পানির উৎস। হিমালয়ের সব হিমবাহ গলে গেলে আমরা কী করব?
মন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বন্ধ না করলে, অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা যা কিছু করার চেষ্টা করি, তা যথেষ্ট হবে না। অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার সীমা রয়েছে। বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশ আগামীকাল নেটজিরো অর্জন করলেও বৈশ্বিক নির্গমনে কোনো পার্থক্য ঘটবে না। কারণ জি-২০ দেশগুলো বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ৮১ শতাংশের জন্য দায়ী। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বাংলাদেশ প্রচুর ব্যয় করছে। উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বছরে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিতে পারে, কিন্তু জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাগুলোয় অর্থায়ন করে না। এ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করতে হবে। আমাদের এখন দ্রুত পদক্ষেপ দরকার, এটা পৃথিবীর সমস্যা। বিশ্বনেতাদের সদিচ্ছা প্রকাশ করতে হবে।
সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ আমাদের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশের উত্তরে হিমবাহ গলছে এবং দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। আমরা খরা, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সব নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ‘প্রচণ্ড’ নেপাল সরকারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী নওল কিশোর সাহ সুরির সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেপাল সরকারের মুখ্য সচিব ড. বৈকুণ্ঠ আরিয়াল।
"