স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রথম যখন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলাম, তখন চিন্তা করেছিলাম কীভাবে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের অবকাঠামো টেকসই করা যায়। আজকে গ্রামীণ অবকাঠামো প্রায় ৩০ শতাংশ তৈরি হয়ে গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। কয়েক দশক ধরেই জলবায়ু পরিবর্তন একটি গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশে এর প্রভাবও অনেক বেশি। যখন কোনো বিপর্যয় দেখা যায়, তখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অবকাঠামো বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এই ক্ষতির হার কমাতে কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রিজিলিয়েন্ট রুরাল ট্রান্সপোর্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক, এডিবি বা অন্যান্য যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে তারা মূলত সেসব সেক্টরেই ঋণ দেয়, যেসব সেক্টর থেকে প্রদেয় ঋণ উত্তোলন করা যায়। একসময় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ প্রদানে অনাগ্রহ প্রকাশ করত, বর্তমানে এই দৃশ্যপট আর নেই। বাংলাদেশ ধাপে ধাপে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে এখন আর ঋণ দিতে ভয় পায় না। বাংলাদেশ আজ ৩৩তম অর্থনৈতিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট নাতালিয়া স্ট্যাংকভিচসহ প্রমুখ।

"