সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

  ১৭ মে, ২০২৪

লাভে লোভে অপরিপক্ব ফল, প্রতারিত ক্রেতা

উত্তরবঙ্গের মধ্যে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু সবচেয়ে সুস্বাদু। পাশাপাশি সৈয়দপুরের লিচুর মানও উন্নত। এসব লিচু পাকতে আরো সপ্তাহ তিনেক সময় বাকি। অর্থাৎ ২০-২১ দিন পর এসব লিচু বাজারে আসবে। মৌসুমের লিচু স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী বেশি লাভের লোভে অপরিপক্ব লিচু বাজারে আনছেন। এসব আধাপাকা লিচু খেতে খুবই টক। শুধু লিচুই নয় এমন আধাপাকা মিসরি ভোগ আমও সৈয়দপুরের বাজারে আসছে। বছরের প্রথম ফল হিসেবে অনেকে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। এমন আধাপাকা ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

সৈয়দপুর শহরে অপরিপক্ব একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা আর এক কেজি মিসরি ভোগ আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। স্বাস্ব্যঝুঁকি জেনেও অপরিপক্ব টক লিচু আর আম কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।

প্রচণ্ড গরমে অপরিপক্ব এসব ফল কেন বিক্রি করছেন জানতে চাইলে ব্যাবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের নতুন ফল খাওয়ার সবারই আগ্রহ থাকে, ফলে দামও পাওয়া যায় ভালো। এ কারণে গ্রামের যেসব বাগানে লিচু হালকা লাল হয়েছে, সেগুলো বাগান মালিকদের বেশি দাম দিয়ে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে, উত্তরবঙ্গের সুস্বাদু লিচু হলো দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু। এই লিচু পরিপক্ব হতে এখনো ২০-২৫ দিন বাকি। বদরগঞ্জের খাগরাবন ও রাজশাহীর মিসরি ভোগ অতুলনীয়। তেমনি হাড়িভাঙা আমের জন্য বিখ্যাত রংপুর। কিন্তু এসব আম পাকার আগে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। বর্তমানে সৈয়াদপুরের বাজারে যেসব লিচু ও আম বিক্রি করা হচ্ছে সেগুলোর কোনোটাই পরিপক্ব নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচিত অভিযান চালায়ে এটা বন্ধ করা দরকার।

সৈয়দপুর ১০০ বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, অপরিপক্ব যেকোনো ফল খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি অপরিপক্ব কোনো ফলই বিক্রি ও ক্রয় না করার অনুরোধ জানান।

দুলাল নামের এক আড়তদার বলেন, সৈয়দপুর শহরের সব আড়তদারদের বদনাম করে ছেড়েছেন গিয়াস নামের এক ফল আড়তদার। তিনি বলেন, যেখানে কৃষি অধিদপ্তর, ও ডাক্তার বলছেন অপরিপক্ব ফল খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে, সেখানে তিনি তাদের কথার তোয়াক্কা না করে, অতিরিক্ত লাভের আশায় অপরিপক্ব লিচু ও মিসরি ভোগ আম বিক্রি করে চলেছেন। এসব ব্যবসায়ীর মোটা অঙ্কের জরিমানা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাদেক পাগলা নামের এক ক্রেতা বলেন, বছরের প্রথম ফল তো তাই কিনলাম। বিক্রেতা বললেন ফলগুলো মিষ্টি হবে, এখন দেখছি জম্মের টক। ফল বিক্রেতা গিয়াস জানান, লাভের আশায় আম ও লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। শুধু আমার আড়তেই নয় অনেকের আড়তেই অপরিপক্ব ফল আছে। তারা দাপটের সঙ্গেই তা বিক্রি করছেন। কিন্তু তাদের প্রশাসনসহ কেউই কিছু বলেন না। অভিযান যদি চালাতেই হয়, তাহলে সবার বিরুদ্ধেই চালানো দরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close