জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যেসব সমস্যা সারা বিশ্বের মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, সংসদীয় কূটনীতি সেগুলো সমাধানে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার। বিশে^ এখন অভিবাসন সমস্যা অভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করেছে। এজন্য আমরা সংসদীয় কূটনীতি কাজে লাগাব।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠেয় ‘ফার্স্ট মিটিং অফ দি প্রিপারেটরি কমিটি ফর দি সিক্সথ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ স্পিকার্স অফ পার্লামেন্ট (২০২৫)’ শীর্ষক কনফারেন্সে বক্তব্য দিতে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার স্পিকার এসব কথা বলেন।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন, সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং, অ্যাঙ্গোলা, কানাডা ও জাম্বিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার, কাতারের সূরা কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার, আলজেরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা এ কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অফ স্পিকার্স অফ পার্লামেন্ট বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এই ইভেন্টে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টের স্পিকাররা প্রতি পাঁচ বছর পরপর একত্রিত হয়ে সমসাময়িক বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্পিকাররা উদীয়মান চ্যালেঞ্জ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

স্পিকার বলেন, পার্লামেন্টের স্পিকারদের বৈশ্বিক কনফারেন্স বিশ্বের প্রতিটি মানুষের আকাক্সক্ষার সঙ্গে অনুরণিত হবে। তিনি বলেন, দারিদ্র্য, অসমতা, ধনী-গরিব বৈষম্য, অভিবাসন সমস্যা, অর্থনৈতিক মন্দা ইত্যাদি অভিন্ন সমস্যা বর্তমান সময়ে খুবই প্রাসঙ্গিক। স্পিকারদের আসন্ন সম্মেলনে এসব প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এজেন্ডা রাখতে হবে যেন এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।

এ সময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো. এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।

"