লোকাল বাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় উত্তাল ক্যাম্পাস। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ ৬ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যশোর-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার কথা বলেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় অপরাধী গ্রেপ্তার না হওয়ায় ফের বিক্ষোভণ্ডঅবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে আরো দুই দিনের সময় নিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।

দাবিগুলো হলো- সুষ্ঠু তদন্ত, অপরাধীর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, যশোর-চৌগাছা রুটের সব বাসের চালক এবং হেলপারকে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বাসের সামনের সারিতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ চহিদাসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসন বরাদ্দ রাখা, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার যশোর-চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে বহন করা ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি ঘণ্টায় শহর থেকে (চাঁচড়া, মনিহার) শাটল বাস সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাটল বাস দেওয়ার সক্ষমতা এ মুহূর্তে আমাদের নেই। তবে অভিযুক্ত যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া যশোর-চৌগাছা বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আমরা কথা বলে ব্যবস্থাগ্রহণ করব।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত রবিবার মাসুদ নামের এক যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লোকাল বাসে শ্লীলতাহানি করে। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে।

"