রাবি প্রতিনিধি

  ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাবিতে হলের সিট দখলের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে আবাসিক শিক্ষার্থীর সিট দখল ও হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ইমরান ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শহিদ হবিবুর রহমান হলের ১৪৬ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র। অভিযুক্তরা হলেন- একই হল ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিনহাজ ইসলাম ও আইনবিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব ফিরোজ।

ভুক্তভোগী ইমরানের অভিযোগ, ‘গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে আমি হল প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ১৪৬ নম্বর কক্ষে উঠি। রাতে খাওয়ার জন্য বাইরে গেলে ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে আমার বিছানাপত্র সরিয়ে দিয়ে সেখানে সমাজকর্ম বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজুলকে তুলে দেন। রাত হলে এসে এ অবস্থা দেখে প্রাধ্যক্ষকে জানাই।’ এদিকে প্রধ্যক্ষ ভুক্তভোগীকে জানিয়েছেন, ‘তুমি ছাত্রলীগকে জানাও প্রক্টর স্যারের সুপারিশে প্রাধ্যক্ষ এ সিট তোমাকে বরাদ্দ দিয়েছে। এ দুই দিন তো ছুটি। রবিবার এসে এটা দেখব। তুমি এখান থেকে বের হবা না।’

ফলে ভুক্তভোগী ইমরান আরো জানান, ‘রাত গভীর হওয়ায় ওভাবেই রুমে থাকি। ১৯ এপ্রিল সকালে হলের ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ তার কক্ষে ডাকেন এবং সিট ছাড়ার জন্য হুমকি দেন। ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ তাকে বলেন, ‘তোকে যদি সিটে উঠতে না দেই তাহলে প্রক্টর বা প্রাধ্যক্ষ আসবে? এখান থেকে যাওয়ার পর বিছানাপত্র নিয়ে চলে যাবি। তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে সাড়া দেননি অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ ইসলাম। তবে হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে আহসান হাবিব ফিরোজ জানান, ‘প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েই ওই সিটে আমি একজনকে উঠিয়েছি।’ এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনাটি অবগত হয়েছি। বিষয়টি আমি দেখছি। ওই শিক্ষার্থী ওই সিটেই থাকবে। আমি কথা বলেছি, আর সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে যদি একই ঘটনা ঘটে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজের বিরুদ্ধে হলে সিট দখল, আবাসিক ছাত্রকে হুমকি-ধমকি ও ডাইনিং-ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা পরিশোধ না করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, দখলকৃত সিটে উঠা মাহফুজুল হলের আবাসিক ছাত্র নয় বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘বিষয়গুলো আমারাও দেখছি। একটি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close