সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা হবে

- কৃষিমন্ত্রী

কৃষক যাতে ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়, সেজন্য আমরা একটা সঠিক মূল্য নির্ধারণ করব। ধান উঠানোর সময় কোনো মধ্যস্বত্বভোগী যেন সুবিধা না নিতে পারে, সেজন্য সবাইকে দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুস শহীদ।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওর পাড়ের বাহাদুরপুর গ্রামে ধান কাটার উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, কৃষক হচ্ছে বাংলাদেশে প্রাণ। কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমাদের দেশের খাদ্য চাহিদার লক্ষ্যমাত্রা আছে ২ কোটি ২২ লাখ টন। আমরা যাতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি, সেটা চেষ্টা করে যাচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন কৃষি বিপণন কেন্দ্র সেভাবে মূল্য নির্ধারণ করবে। কৃষক যাতে সঠিক মূল্যে তাদের উপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।

এদিকে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় কৃষক। ধান কাটা উদ্বোধনকালে কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে প্রতি বছরই শঙ্কায় থাকেন। বাধ্য হয়ে কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে হয়। এ সময় কৃষককে আশ্বস্ত করে আবদুস শহীদ বলেন, আপনারা পরিশ্রম করে ধান ফলান আমরা সেই মূল্যায়ন আপনাদের করব। আগামী পরশুদিন ধানের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে একটি বৈঠক হবে। সেখানে আমরা চেষ্টা করব আপনাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য দিতে- যাতে আপনারা লাভবান হন।

কৃষিনির্ভর জেলা সুনামগঞ্জ। এক ফসলি জেলার একমাত্র অবলম্বন হলো বোরো ফসল। আগাম বন্যার শঙ্কায় প্রতি বছরই কৃষক চাষাবাদ শুরু করেন। তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওরে হাওরে এখন সোনালি ধানের আভা। জেলার ছোট-বড় শতাধিক হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে কৃষি বিভাগ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close