কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

  ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

আলু সংরক্ষণে সাড়া নেই

প্রতিবছর কুড়িগ্রামের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা মৌসুমে আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারগুলোতে ভিড় জমান। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। হিমাগার কর্তৃপক্ষ চাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আলু সংরক্ষণে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছে না। এরই মধ্যে মৌসুম শেষ হতে চলেছে, জমি থেকে আলু উত্তোলন প্রায় শেষের পথে। এখনো হিমাগারগুলো ৭০ শতাংশ আলু সংরক্ষণ করতে পেরেছে। বাকি ৩০ শতাংশ জায়গা এখনো খালি রয়েছে।

আলু উঠার পর চাষি ও ব্যবসায়ীরা পরবর্তীতে বাজারজাতের জন্য হিমাগারে সংরক্ষণ করত। এজন্য হিমাগারে ভিড় পড়ে যেত, চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা শুরু হত। কিন্তু এবার কুড়িগ্রামের হিমাগারগুলোয় কাঙ্ক্ষিত আলু পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আলু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, এভাবে বিনষ্ট হতে পারে বাজারের ভারসাম্য। এ সুযোগে ওই সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ইচ্ছামতো আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়ে মুনাফা লোটার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।কৃষকরা বলেছেন, হিমাগারের ভাড়া বেড়েছে। বস্তা প্রতি ৫০ কেজির বেশি আলু না রাখায় অনেকে স্থানীয়ভাবে আলু সংরক্ষণ করছেন। কুড়িগ্রাম জেলার ৪টি হিমাগারে এ প্রতিনিধি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছে। সেখানে এ. হক হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা ১৩ হাজার টন, এর মধ্যে ৮ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। তাদের ৪টি চেম্বারের মধ্যে ৩টি পূরণ হয়েছে। মোস্তফা কোল্ড স্টোরেজ তাদের ৩টি চেম্বারের মধ্যে ২টি চেম্বার পূর্ণ হয়েছে। সিকেন্দার বীজ হিমাগারে ৩টি চেম্বারের মধ্যে অর্ধেক চেম্বার পূরণ হয়েছে।

বাবর কোল্ড স্টোরেজ (প্রা.) লিমিটেডের ম্যানেজার শরিফ আল মাসুদ মন্ডল বলেন, ‘গতবার আলুর আবাদ কম ছিল। তাই এবার বীজের দাম বেশি। শীত, খরা এবং ছত্রাকনাশক রোগ হওয়ায় এবারও আলুর আবাদ একটু কম হয়েছে। তাছাড়া সরকার নির্ধারিত বস্তা প্রতি ৫০ কেজির বেশি আলু না রাখায় ধারণক্ষমতা অনুযায়ী আমরা আলু পাচ্ছি না।’ রায়পুর বাজারের আলু চাষি ও ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ কাজল বলেন, ‘এ মৌসুমে জমিতেই কেজি প্রতি আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় কৃষক খুশি। এবার হিমাগারে আলু রাখার পর সরকার যদি দাম বেঁধে দেয় তাহলে কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’

হরিশ্বর কালোয়া বকসী পাড়া গ্রামের আলু চাষি ও ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হিরো বকসী বলেন, ‘আলু সংরক্ষণের অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু রাখার জন্য হিমাগারগুলো আলু কম পাচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি কুড়িগ্রামের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close