বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

টানা ছুটি শেষে চাপ কমছে বেনাপোলে

ভারতে যাতায়াত

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন ভারত ভ্রমণকারী পাসপোর্টধারীরা। গত রবি ও সোমবার ভারত ফেরত যাত্রীদের প্রচুর ভিড় ছিল, গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও সারা দিন তেমন ভিড় ছিল না। চেকপোস্টে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

জানা যায়, এবার ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ছুটি ঘোষণা করে সরকার। লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাংলাদেশ থেকে অনেকে গিয়েছিলেন ভারতে। এখন তারা ফিরতে শুরু করেছেন। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভারত ফেরত যাত্রীদের বেশি চাপ ছিল।

ইমিগ্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, টানা ছুটিতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ৩২ হাজার ৯৮৯ জন যাত্রী পারাপার করেছেন। যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত ৩ গুণ বেশি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৪১৯ জন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান। আর ১৩ হাজার ৫৭০ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। চলতি সপ্তাহ ভারত থেকে আসা যাত্রীর চাপ একটু বাড়তে পারে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দুই দেশের ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি দেখা দেয়। বিশেষ করে ভারতের পেট্রাপোলে ভোগান্তি বেশি বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। পাসপোর্টধারী ঢাকার ফিরোজ কবির জানান, তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদ ছুটিতে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। তবে শূন্য রেখায় লম্বা লাইনে যে ভিড় ছিল, তাতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন সারতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল সংকট থাকায় তাদের এ দুর্ভোগ।

খুলনার রেশমা আক্তার সরকারি চাকরি করেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে ভারতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে দেশে ফিরছেন। ওপারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হাঁপিয়ে উঠেছি।

শফিকুল ইসলাম নামে একজন পাসপোর্টধারীযাত্রী অভিযোগ করে বলেন, বেনাপোলে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সহজতর হলেও ভারতের পেট্রাপোলে দীর্ঘ সময় লাগছে।

পাসপোর্টধারী ঢাকার বরকত আলী জানান, দূরপাল্লার বাসে সিট সংকটের কথা বলে বেনাপোলে ভাড়া বেশি আদায় করছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ সময় ঢাকার ভাড়া জনপ্রতি ননএসি ৭০০ টাকা ও এসি ১২০০ টাকা হলেও এখন চাইছে নন এসি ৮০০ টাকা ও এসি ১৫০০ টাকা।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেন। ভ্রমণকর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে সেবার কাঙ্ক্ষিত মান সেবা বাড়েনি।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, ভারত ফেরত যাত্রীর চাপ বাড়ায় দ্রুত পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মো. কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ৩৩ হাজারের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া করেছেন। স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন।

পেট্রাপোলে ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, পেট্রাপোলের ওসিকে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, ইমিগ্রেশনে দেরি হওয়ার মূল কারণ বিএসএফের তল্লাশি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close