রাঙামাটি প্রতিনিধি

  ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

উন্নয়ন ও শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

- কুজেন্দ্র লাল

দেশের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের জন্য আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে যেন আমরা প্রত্যেকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য আলাদা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে এরকম অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটি মারি স্টেডিয়াম মাঠে মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাইয়ের জল উৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বৈসাবি একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। রাঙামাটিতে আজকের এই জল উৎসব অনুষ্ঠান প্রমাণ করে আমরা শান্তি চাই সম্প্রীতি চাই ঐক্য চাই। তাই দেশের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সঙ্গে শামিল করার ক্ষেত্রে সবাইকে অনন্য ভূমিকা রাখতে হবে।

সাংগ্রাই উৎসবের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মারমা যুবক-যুবতীদের গায়ে পানি ছিটিয়ে জল উৎসবের শুভ সূচনা করেন। জলকেলির পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মারমা শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াশিকা আয়েশা খান, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিণী প্রধান শিক্ষক মিজ মল্লিকা ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সোহেল আহমেদ, বিজিবি রাঙামাটি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, বিপিএম (বার), রাঙামাটি সদর পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, দুদক রাঙ্গামাটির উপপরিচালক জাহিদ কামাল প্রমুখ।

উল্লেখ্য মারমারা পুরোনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাংগ্রাইয়ের এই জল উৎসব করে থাকে। মারমা তরুণ-তরুণীরা এই জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পুরোনো বছরের গ্লানি, দুঃখ, অপশক্তিকে দূর করে ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close