আশিকুর রহমান শুভ, ঢাবি

  ০২ মার্চ, ২০২৪

উপহারের বই কিনতে মেলায়

অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামবে আজ শনিবার। প্রকাশকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বইমেলার মেয়াদ বাড়িয়ে ২ মার্চ পর্যন্ত করে বাংলা একাডেমি। বইমেলায় সবাই শুধু নিজের জন্য বই কেনেন না। কেউ তাকিয়ে সাজানো বই দেখেন, কেউ বক্তব্য শোনেন, লেখককুঞ্জে আড্ডা দেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শোনেন, পাঠক-দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, কেউ বই কিনে প্রিয়জনদের উপহার দেন। বইমেলায় সব বয়সি মানুষের চাহিদা উপযোগী বই কিনতে পাওয়া যায়।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় খোলে বইমেলার দ্বার। অন্য ছুটির দিনে যেরকম ভিড় দেখা যায়, গতকাল তার চিত্র ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। সকাল থেকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি পাঠকদের। অনেকটা স্বস্তিতে দাঁড়িয়ে-বসে সময় কাটাতে দেখা যায় স্টল-প্যাভিলিয়নের বিক্রয় কর্মীদের। তবে বিকেলের দিকে মেলার চিত্র অনেকটা পাল্টে যায়। তখন থেকেই পাঠকদের আনাগোনা বাড়তে থাকে মেলা প্রাঙ্গণে, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে প্রকাশকদের স্বস্তির বিষয় এই যে- যারাই মেলায় আসছেন, তারা সবাই দেখে পড়ে কিনছেন বই। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে বেশিরভাগ পাঠকের হাতে দেখা যায় নতুন বইয়ের ব্যাগ।

অন্য প্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি মৌ জানান, আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে মেলায় পাঠক সংখ্যা কম। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি যেরকম মানুষ ছিল, আজ (গতকাল) সকাল থেকে তেমনটা দেখা যায়নি। কিন্তু বিকেলের দিকে মেলায় পাঠক আসেন, দেখেন বই, পছন্দ হলে কিনে নেন। কাকলী প্রকাশনীর আরেক বিক্রয়কর্মী জানান, মেলার মেয়াদ দুদিন পাওয়ায় আমরা আশা করেছিলাম পাঠকের সংখ্যা আরো বাড়বে। যেরকম বাড়বে আশা করেছিলাম, তেমনটা সকাল থেকে দেখতে পারছি না। বলা যায়, গত শুক্রবার থেকেও পাঠক কম। তবে আশার কথা হচ্ছে যারাই মেলায় আসছেন, তারাই সবাই কিনছেন। অনেকেই তো আবার বই তালিকা নিয়ে এসেছেন বই কেনার জন্য। মেলায় আগতরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের বই খুঁজে নেওয়ার বড় সুযোগ থাকে মেলায়। কিছু বইয়ের তালিকা করে পছন্দমতো বই কিনে নেন তারা, অনেকেই বই কিনে প্রতিষ্ঠান বা প্রিয়জনকে উপহার দেন।

এদিকে পাঠক-দর্শনার্থী কম এলেও যারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই বই কিনছেন। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে নিজেদের বুক রিভিউ দেখে পছন্দ করা বইয়ের খোঁজ করছেন তারা। কেউবা আবার পরিচিতদের বই উপহার দেওয়ার পাশাপাশি অনেকে বিভিন্ন গ্রন্থাগারে উপহার দেওয়ার জন্যও বই কিনছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও গ্রন্থগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আমান রহমান বলেন, গ্রামে একটা লাইব্রেরি রয়েছে আমাদের। সেখানে আমি প্রতি বছর ১০টা বই উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। যেন গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক দিক থেকে বিরত থাকে তরুণ প্রজন্ম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close