নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০২ মার্চ, ২০২৪

গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা স্বামী জখম

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিজ ঘরে দিপালী রানী (৪২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাসকে (৪৮) কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে বন্দর থানার লেজারস এলাকায় ভাড়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দিপালী ওই এলাকার কাউসার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও শ্যামা চন্দ্র দাসের স্ত্রী। তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তার স্বামী শ্যামা পেশায় চর্মকার। তাদের সংসারে চার মেয়ে।

নিহতের মেয়ে মলি দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি ও ছোট বোন অথৈ সেখানে যাই। সে কারণে ঘরের বাইরে দিয়ে ছিটকিনি লাগানো ছিল। রাত সাড়ে ১২টায় বাড়িতে ফিরে বৈদ্যুতিক বাতি না জ্বালিয়ে দুই বোন খাটে ঘুমিয়ে পড়ি। আর বাবা-মা প্রতিদিনের মতো নিচে বিছানা পেতে শুয়েছিলেন। শুক্রবার সকাল ৮টায় ঘুম ভাঙলে উঠে দেখি- মায়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে আছে। তার শরীরে অনেক কোপের ক্ষত রয়েছে। এর পাশেই বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কাছে গিয়ে দেখতে পাই তার নিশ্বাস চলছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

‘হত্যার সঙ্গে বাড়ির কেয়ারটেকার জড়িত’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ বাড়ির বাড়িওয়ালার বোন ফরিদা বেগম কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সঙ্গে প্রায় সময় মায়ের ঝগড়া-ঝাঁটি হতো। কিছুদিন আগেও রান্না করা ও ঘর ভাড়ার টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। তবে তাদের সব ভাড়া আমরা এরই মধ্যে পরিশোধ করেছি। এর রেশ ধরে ফরিদা বেগম ও তার স্বামী মিলে আমার বাবা-মাকে কুপিয়েছে। মা বাড়িতে মারা গেছেন। বাবা হাসপাতালে আহতাবস্থায় এ কথা আমাদের জানিয়েছেন। আমি আমার মায়ের খুনিদের বিচার চাই।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close