নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হলমার্ক কেলেঙ্কারির এক মামলার রায় পিছিয়েছে

সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় একটি মামলার রায় পেছানো হয়েছে। নতুন করে আরো দুজনের সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন আদালত মঞ্জুর করায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালত এ আদেশ দেন। এক যুগ আগের আলোচিত ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় হলমার্ক গ্রুপের মালিক, কর্মকর্তা এবং সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার রায়ের জন্য গত ২৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়। কিন্তু আরো দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষী নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে আগামী ৪ মার্চ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। অভিযোগে বলা হয়, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস নামে ভুয়া কোম্পানির হিসাবে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ অভিযোগ গঠন করে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন। মামলার ৮১ জনের মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।

আলোচিত ওই ঋণ দুর্নীতির মামলায় আসামি হলেন ১৯ জন। তাদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক।

জামিনে থাকা আসামিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।

পলাতক আসামিরা হলেন প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close