নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাক-বাজেট সভায় বিসিআই

দেশে ৪০ শতাংশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প বন্ধ হয়ে গেছে

করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে দেশের ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এ বন্ধ হওয়া অব্যাহত আছে। চলতি বছর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাও কম। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে এনবিআর আয়োজিত প্রাক-বাজেট সভায় তিনি এ তথ্য দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিআই সভাপতি আনোয়ার চৌধুরী বলেন, গত ছয় মাস আগে আমরা একটি স্টাডি করেছিলাম, ওই স্টাডিতে দেখা গেছে ৪০ শতাংশের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প করোনা-পরবর্তী সময়ে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্ম হারিয়েছেন। ফলে যারা উদ্যোক্তা ছিলেন, তারা অনেকে এখন কাজ খুঁজছেন। সভায় অনলাইন প্রতিষ্ঠান দারাজের কর্মী ছাঁটাইয়ের উদাহরণও সামনে আনেন বিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, আমাদের এখন স্পিড মানি আগের চেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খরচ দিতে হচ্ছে। এগুলো যখন ব্যয় হিসেবে অনুমোদন করা হয় না, তখন এর ওপর ট্যাক্স দিতে হচ্ছে, ফলে আমাদের ওপর দ্বিগুণ চাপ বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, এছাড়া এনবিআরের বিভিন্ন শর্তের কারণে করপোরেট ট্যাক্স ৩ বছরে সাড়ে ৭ শতাংশ কমালেও কোম্পানিগুলো সেই সুবিধা নিতে পারছে না।

সভায় ইলেকট্রনিক্স খাতের উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কাস্টমসের কারণে বন্দরে হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এসব কারণে জরিমানা ও পোর্ট ডেমারেজ বেশি হয়ে যাচ্ছে এবং তা ভোক্তার ওপর যাচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকৃত পণ্যের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রকৃত ভ্যালুর চেয়ে বেশি ধরায় ব্যবসায়ীদের ওপর বাড়তি করের চাপ পড়ছে বলেও অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close