নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ওষুধের উচ্চমূল্য কমানোর নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর নির্দেশনা ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় সরকারের ১০ দফা নির্দেশনার পর নড়েচড়ে বসেছে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোয় লাইসেন্সের কপি ও তথ্য কর্মকর্তার নাম প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের জন্য সরকারের জারি করা ১০ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্সের কপি ও তথ্য কর্মকর্তার নাম প্রদর্শন করা হচ্ছে, যা আগে ছিল না।

এদিকে নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওষুধের দাম। ধরন ও কোম্পানিভেদে দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় ওষুধের উচ্চমূল্য কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

ওষুধের দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে বলা হচ্ছে, ডলার সংকট ও আমদানি খরচ বৃদ্ধি। যদিও অভিযোগ আছে, মূল্য সমন্বয়ে কোম্পানির চাওয়ার প্রাধান্য থাকে বেশি। এ অবস্থায় মানুষের ক্রয় সক্ষমতাকেও বিবেচনায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

হাসপাতাল ক্লিনিক পরিচালনার নির্দেশনাগুলো হলো- ১. বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিককে লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।

২. সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে হবে। একই সঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।

৩. যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে কিন্তু শুধু ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স রয়েছে, তারা লাইসেন্সপ্রাপ্তি ছাড়া কোনোভাবেই নামে উল্লিখিত সেবা দিতে পারবে না।

৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, শুধু সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই অন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।

৫. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্ত বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।

৭. হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।

৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ছাড়া চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যেকোনো ধরনের অপারেশন, সার্জারি বা ইন্টারভেনশনাল প্রসিডিউর করা যাবে না।

৯. সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই ‘Operation Theatre Etiquette’ মেনে চলতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close